উখিয়া প্রতিনিধি :
আশ্বীন মাসের দকদহ গরমে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের দূর্ঘম পাহাড়ী এলাকা তেলখোলা ও মোছারখোলা পাহাড়ে জুম চাষের ধান কাটা শুরু করেছে । ৫শতাধিক পরিবার জুম চাষ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আস্বীন মাসের এ কড়া রৌদ্র তাপে তেলখোলা ও মোছারখোলা পাহাড়ে জুম চাষের ধান ঘরে তোলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে উপজাতি চাকমা পরিবার। তারা পাহাড়ে ধান চাষের পাশা পাশি সবজি চাষ ও করে থাকে। বেগুন, মরিচ, তরিতরকারি উৎপাদন করে ওই পাহাড়ী এলাকায়। তাদের নিজস্ব জমি জমা না থাকলেও বন ভুমির পাহাড়ে বর্ষা মৌষমে জুম চাষ করলেও সুস্ক মৌষমে বসে থাকতে হয়। বর্ষা মৌষমে পাহাড়ী এলাকায় জুম চাষ করে যাহা উপার্যন করে থাকে তা দিয়ে পূর্ণ বছরটি চলতে হয়। তাদের জীবন যাপনের জন্য উন্নত পরিবেশ নেই সেই খানে। থাইংখালী থেকে তেলখোলা পর্যন্ত যে রাস্তাটি রয়েছে, তাও চলাচলের অযোগ্য। একজন ছাত্রÑ ছাত্রী থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে হলে চলাচলের উপযোগী রাস্তা না থাকায় পায়ে হেটে ১২ কিঃ মিঃ এর অধিক রাস্তা পার হতে হয়। তেলখোলা গ্রামের মানিক চাকমা জানান, নির্বাচন আসলে নেতা কর্মীরা শুধু বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে ভোট আদায় করে নিলেও নির্বার্চিত হওয়ার পর আর ফিরে দেখে না।
স্থানীয় বালি সিন্ডিকেটের অন্যতম গডফাদার বালি রশিদের নেতৃতে মহিলা মেম্বার ছেলে অস্ত্রসহ চট্রগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়া অস্ত্র মামলার আসামী জুয়েল, আলমগীর, অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আব্দুল করিম, এজাহার মিয়া, সিকান্দর, তোফাইল, জুনু, লালু,বালুখালী পানবাজার এলাকার বালু ভট্রো, বালুখালী এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু সোনালী প্রকাশ বালি সোনালী সিন্ডিকেটের লোকজন স্থানীয় বন প্রশাসন, ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে রাস্তা দিয়ে গাড়ী চলাচল করায় তেলখোলার কাচা রাস্তাটি ভেঙ্গে ছোড় মাড় হয়ে গেছে। যার ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী গাড়ী চলাচল না করায় পায়ে হেটে স্কুলে যেতে হয়। যার ফলে শুস্ক মৌষমে যেমন তেমন বর্ষা মৌষমে ছাত্রÑ ছাত্রীদের স্কুলে যেতে পারেনা। মোছারখোলা গ্রামের অলক চাকমা বলেন, তাদের জীবন জীবিকার মান যেমন উন্নত নয়, ঠিক তেমনি ভাবে উন্নয়নও হয় নাই এলাকায়। তাই ১২ মাস ধরে চলতে হয় জুম চাষ করে।
পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উপজাতিদের চলাচলের জন্য রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করা হলেও তা বালি ব্যবসায়ীদের কারনে কাচা রাস্তা দিয়ে গাড়ী চলাচল করতে না পারা দঃখ জনক। তিনি বলেন, উপজাতিদের জীবন জীবিকার মান উন্নত করতে যাহা করনীয় আগামীতে করা হবে।
পাঠকের মতামত: