ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইয়াংছা মূখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে লেখাপড়া

pic-02-10-16-4মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন ও আসবারপত্র সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে লামার ইয়াংছা মুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষামূলক কর্মকান্ডে বিদ্যালয়টি এগিয়ে থাকলেও পুরাতন ভবনটি মেরামত বা সংষ্কার না হওয়ায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

সরজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ১৯৮৬ সালের লামা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর সীমান্তে দূর্গমে এলাকায় বিদ্যালয়টি স্থাপিত। রেজিষ্টার্ড স্কুল হিসেবে শুরু হয়ে ২০১৩ সালের ১লা জানুয়ারী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আওতায় আসে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীর মৃত মংচিং মার্মানী, মাষ্টার জাফর আহম্মদ ও আতিকুর রহমান এর দান করা ১একর জমির নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২-৯৩ অর্ধবছরে এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ২টি কক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়ের একমাত্র পাকা ভবনটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪-৫ সালে এসে সম্প্রসারণ হয়ে আরেকটি শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে মোট ৩টি শ্রেণী কক্ষ থাকলেও পুরাতর ২টি কক্ষ একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুম এলেই অফিস কক্ষসহ প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে ছাঁদ ছুয়ে পানি পড়ে। ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশ থেকে কংকর বালু খসে খসে পড়ছে। কয়েকটি স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় ছাদটি ভেঙ্গে পড়তে পারে শিক্ষার্থীদের উপর।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ভয় লাগে শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করতে। কখন যেন ভবনটি আমাদের মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে !

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল জলিল জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার, শ্রেণীকক্ষ সম্প্রসারন, নতুন ভবন নির্মাণ, খাবার পানি সহ নানা সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এথোয়াই মার্মা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী সংকট না থাকলেও শ্রেণী কক্ষের তীব্র সংকট রয়েছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আশপাশে আর কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এ বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মানও ভালো। তবে বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। সমস্যা সমাধানে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ কামনা করছি। পানীয় সমস্যা সমাধানে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কাজ করা হবে।

লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে রেজুলেশন করে আমার দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মাণে সুপারিশ করা হবে।

পাঠকের মতামত: