ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে এবার ২৮৬টি মন্ডপে অনুষ্টিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা

durga-potimaশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২ অক্টোবর ঃ

কক্সবাজারে এবার দুইশো ছিয়াশিটি মন্ডপে অনুষ্টিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা । ইতিমধ্যে সকল মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে পুরোদমে। ১১ অক্টোবর বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে অনুষ্টিত হবে দেশের বৃহত্তম প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্টান।

সে লক্ষে সম্পন্ন হয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় লালদীঘিরপাড়স্থ কার্যালয়ে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রণজিত দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক বাবুল র্শমাসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল র্শমা জানান, শারদীয় দুর্গা পুঁজা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করার লক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবকদল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত থাকবে।

######################

পর্যটন শহর কক্সবাজারের ফুটপাত দখলমুক্তের দাবী হিন্দু নেতাদের

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২ অক্টোবর ঃ

কক্সবাজার পর্যটন শহরে প্রধান সড়কসহ অলিগলি ফুটপাত প্রায় দখল হয়েে গেছে। পর্যটকসহ পৌরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরায় চরম দূর্ভোগে শিকার হচ্ছে। শহরের ফুটপাত দখল মুক্তের দাবী জানিয়েছেন হিন্দু নেতারা। গতকাল সহাকারি পুলিশ সুপার (কক্সবাজার সদর মডেল থানা সার্কেল) কার্যালয়ে সদর মডেল থানা আয়োজিত শারদীয়া দূর্গোৎসব উপলক্ষে বিশেষ মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় নেতারা এই দাবী করেন।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যদেন, সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বাপ্পী শর্মা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল উদ্দিন, সদর কমিউনিটি পুলিশ সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা, শহর কমিউনিটি পুলিশ সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সেতু ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দরা বক্তব্যে আরো বলেন, কক্সবাজার শহর যেন অভিভাবকহীন। দেখার কেউ নেই। প্রধানসড়কসহ যে, যেখানে পারে ঝুপড়ি দোকান গেড়ে বসেছে। এতে সাধারণ পথচারিদের চলাচলের চরম বেঘাত ঘটছে। প্রধান সড়স্থ লাল দিঘিরপাড়, হাসপাতাল সড়কসহ শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক-উপসড়কে ফুটপাত দখল করে দোকান বসেছে। আর সেখানে থেকে শহর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য, ট্রাফিক পুলিশের কিছু পুলিশ সদস্য ও কতিপয় সরকারী দলের নেতা পরিচয়দানকারী নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এসব দোকান ঠিকে আছে এমন দাবী অনেকের। দৈনিক বা মাসিক হারে এইসব দোকান থেকে টাকা নেয় হয়। মাঝ্যে মধ্যে জেলা প্রশাসেনর তরফ থেকে অভিযান চালালেও পরের দিন এইসব দোকান আবার গেড়ে বসে। ফুটপাত দখল করা ঝুপড়ি দোকানের কারণে একদিকে যেমন সাধারণ পথচারিদের চলাচল ও একই সাথে যানবাহন চালাচলেও মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। অপর দিকে সৌন্দর্যহানী হচ্ছে পর্যটন শহরের।

সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বাপ্পী শর্মা জানান, শহরের প্রধান সড়কের ফুটপাত দখলে থাকার কারণে পূজা উৎসবসহ নানা ধর্মের বড় বড় উৎসবে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হয়। ফুটপাত দখল করে অবৈধ ঝুপড়ি দোকন বসিয়ে যারা অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দ্রুত এই অবৈধ দোকান গুলোকে উচ্ছেদ করা দরকার। এইভাবে প্রশ্রয় দিলে একদিন পুরো শহরটিও ঘিলে খাবে পুটপাত দখলকারী এই চক্র।

এই সব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কেউ এইসবের বিষয়ে কোন সুউদত্তর দিতে পারেনি রাজি হয়নি।

 

পাঠকের মতামত: