ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা সড়ক মরণ ফাঁদ !

ddসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা যোগাযোগ সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যাতে করে প্রতিদিন দূর্ভোগ আর দূর্গতির শিকার হচ্ছে যানবাহন, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন।

জানা যায়, বিগত বছর কয়েক দফা বন্যায় লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ঈদগাঁও পালপাড়া-ভোমরিয়াঘোনা-কানিয়াছড়া-ঈদগড় যোগাযোগ সড়ক এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। বিগত বন্যার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও চলাচলের একমাত্র রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। যার ফলে বিশাল এলাকার লোকজনকে নানা কষ্ট আর দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করছে।

ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কের পালপাড়া-কানিয়াছড়া-ভোমরিয়াঘোনা পয়েন্টে গতবছর বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া চলাচল রাস্তা খালে পরিণত হয়ে পড়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার অসহায় লোকজন প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়েছে। এমনকি ঐ সড়কে চলাচলরত হরেক রকমের যানবাহন বড় বড় গর্ত পেরিয়ে চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়াও ঈদগাঁও-পালপাড়া-ঈদগড় সড়ক দিয়ে লোকজন কানিয়ারছড়া, গজালিয়া, শিয়াপাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, চৌধুরী পাড়া, পালপাড়ার বিভিন্ন এলাকাসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন কোন না কোনভাবে যাতায়াত করে থাকে। এমনকি বছরের অন্যান্য মাস এ সড়কে অবস্থানকারী লোকজন ভাল অবস্থায় দিনাতিপাত করলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে। সে সাথে উক্ত সড়কের একপাশ ভেঙ্গে ঈদগাঁও নদীর পার্শ্বে দেবে যাচ্ছে। যত্রতত্র স্থানে খানা খন্দক আর বড় বড় গর্তে ছেয়ে গেছে সড়ক জুড়ে। যাতে করে রাতে নানা যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে কোন না কোন দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকার লোকজন।

ইসলামাবাদ তেতুলতলির কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী দেবাশীষ আচার্য্যের জানান , দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা সংস্কার নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো নিরব থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন। পাশাপাশি আসন্ন ৪টি দূর্গোৎসবে পূজারীরা যাতায়াতে নানাভাবে দূর্ভোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

অপরদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি প্রদোষ পাল মুন্না জানান , ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পালপাড়া অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে করে বেশ কিছুদিনের মধ্যে কমপক্ষে ডজনাধিক টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হয়। পাশাপাশি আসন্ন দূর্গোৎসবে পূজারীরা পূজামন্ডপে যাতায়াত করতে হিমশিম খাবে বলেও জানান। অপরদিকে সড়কে চলাচলকৃত যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী সড়কে যেখানে চলাচলের জন্য সময় দরকার মাত্র ৫০ মিনিট সেখানে সময় ব্যয় হচ্ছে প্রায় দেড় ঘন্টারও বেশি। আবার ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমও হচ্ছে প্রায় সময়।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ সঞ্জিত দাশ জানান, ঈদগাঁও পালপাড়া-ভোমরিয়াঘোনা যোগাযোগ সড়কের মত অনুপযোগী সড়ক জেলার আর কোথাও নেই । এ সড়ক দিয়ে লোকজনের চলাচল অনেকটা কাহিল হয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ লোকজনের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে তিনি অতিসত্ত্বর এ সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানান ।

ঈদগাঁও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পিযুষ পাল জানান, প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও রাস্তা পুনঃসংস্কারের বিষয় নিয়েও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ঘুম না ভাঙ্গায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত: