ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সামাজিক বনায়নের পাহাড়

bbসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে পাহাড় কাটার হিড়িক। এতে বাদ যাচ্ছেনা সামাজিক বনায়নের পাহাড়ও। দেশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইন থাকলেও খুটাখালীতে তার কার্যকারিতা নেই। রহস্যজনক কারনে নিরব ফুলছড়ি বনবিভাগ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বনবিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে সামাজিক বনায়ানের পাহাড় কাটা এমন অভিযোগও রয়েছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা এসব পাহাড় কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিত্রিু করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্ত বনবিভাগের কর্তাব্যাক্তিরা যেন অসহায় এসব প্রভাবশালীদের কাছে।

সুত্র জানায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্চের আওতাধীন ফুলছড়ি বন বিটের লম্বাথলী এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট শুধুমাত্র পাহাড় কেটে বনবিভাগের শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারী বনভুমি প্লট আকারে বিত্রিুর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এতে বাদ যাচ্ছেনা সামাজিক বানায়নের মাধ্যমে সৃজনকৃত ২০০৫-৬ সনের বাফার জোন বাগান পর্যন্ত। প্রভাবশালীরা সরকারি বনভূমির পাহাড় থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট মাটি কেটে ট্রাক ও ডাম্পার যোগে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিক্রয় করে দিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ২০০৫-৬ সালের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের ২ নং গ্রুপের উপকারভোগী খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়ার ফকির আলমের স্ত্রী রওশন আরা বেগমের প্লট প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে জমি তৈরী করছে এলাকার প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম প্রকাশ কয়লা রফিক ।

এছাড়াও খোজঁ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার অর্ধশতাধিক চিহ্নিত ভুমিদস্যুরা বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট সরকারী বনভূমির পাহাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটা ও স্থাপনা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার এসব বনভূমি কেটে শ্রেনী পরিবর্তন করে প্লট আকারে বিত্রিুও করছে প্রভাবশালীরা। খুটাখালীর ২০০৫-৬ সালের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী রওশন আরা বেগম অভিযোগ করে জানান,এলাকার প্রভাবশালী ভুমিদুস্যু রফিকুল ইসলাম প্রকাশ কয়লা রফিক সামাজিক বনায়নের পাহাড় কেটে মাঠি লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কাটার পর সে শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারী বনায়নের জমি দখল করে তা প্লট আকারে বিত্রিু করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগকে একাধিকবার বলার পরও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তার সাথে ভুমিদুস্যুদের দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা স্থানীয় বনবিভাগ।

এ ব্যাপারে ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তারা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সামাজিক বনায়নের উপভোগীরা কোনরকম সহযোগিতা করেন না,তাই ভুমিদুস্যুদের ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছেনা।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

পাঠকের মতামত: