ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

এড.খালেকুজ্জামানের ১৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান মানুষের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই

ad-khalek-1সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::

কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেছেন, আমার আব্বা মরহুম এডভোকেট মাওলানা ফরিদ আহমদ মানবসেবায় জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। বড় ভাই এড.খালেকুজ্জামানও যত দিন বেঁচে ছিলেন মানুষের জন্য কাজ করে অমর হয়ে আছেন। আমিও আজীবন মানবসেবা করে বেঁচে থাকতে চাই।

এড.খালেকুজ্জামানের ১৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সহিদুজ্জামান এসব কথা বলেন। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের গোলদীঘি সংলগ্ন ‘জামান ভিলায়’ এ সভা আয়োজন করে খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ।

সভায় ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেছেন, কঠিন পথ জেনেও রামু-কক্সবাজারের মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা থেকে রাজনীতিতে এসেছি। মানুষ আমাদের পরিবারের প্রতি অগাধ মমতাবোধ থেকে ভোট দিয়ে আমাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করে নিইনি, দিয়েছি শুধু। জনগণের ভালবাসার প্রতিদান দিতে আমার আব্বা ও ভাই আতেœাৎসর্গ করেছেন। আমিও জনগণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি।

তবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতি করে টিকে থাকা কঠিন মন্তব্য করেছেন সাবেক এই পার্লামেন্টেরিয়ান। তার মতে, আতীতের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের চর্চার সুযোগ ছিল। এখন রাজনীতির ধরণ পাল্টে গেছে। জনগণের ভোটাধিকার নেই। সব নির্বাচনে সরকারী দল একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। এই অবস্থায় সত্যিকারের রাজনীতিবিদদের গণতন্ত্র চর্চা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে মরহুম খালেকুজ্জামানের স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন- ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেক, পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ বি.কম, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম, সমাজসেবক নুর সোলতান, ফয়েজ আহমদ (ফয়েজ মিয়া), রামু কাউয়ারখোপ বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকতার আহমদ, টেকনাফের সাবেক ছাত্রদল নেতা সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন, ফয়েজ উল্লাহ মেম্বার প্রমুখ।

মাওলানা আজিজুর রহমানের কোরআন তেলাওয়াতে শুরু হওয়া এই সভায় আনিসুর রহমান, মাওলানা আকতার আহমদ, জুনাইদ, শামসুল আলম সিকদার, আব্দুশ শুকুর, আজিজুর রহমান সিকদার, লোকমান হোসেন সিকদার, জালাল আহমদসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মরহুম এডভোকেট খালেকুজ্জামানের আতœার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র তিনদিন আগে ২৮ অক্টোবর রামু বাইপাসে লাখো মানুষের জনসভায় খালেকুজ্জামান মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার নামে ওই স্থানের নামকরণ করা হয় ‘খালেকুজ্জামান চত্বর’। খালেকুজ্জামান হেসে হেসে দুনিয়া ছাড়লেও দুনিয়াবাসী তাকে ছাড়তে পারছেনা। রামু-কক্সবাজারবাসীর মাঝে ঘুরে ফিরে আসছে তার নিরহংকারী চেহারা। পরবর্তীতে তারই আপন ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামানকে বিপুল ভোটে এমপি বানিয়ে যেন খালেকুজ্জামানের ভালবাসার স্বীকৃতি ও প্রতিদান দিয়েছিলেন রামু-কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ।

পাঠকের মতামত: