ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ভিক্ষুকের কাছে এক বস্তা টাকা

33312_111অনলাইন ডেস্ক :::

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর হাটে নিজের জমানো বস্তা ভরা টাকা ফেলে যাওয়া আলোচিত ঘটনার মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা ভিখারীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে  সে তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি। তার নিকটজন কাউকেও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পুলিশ উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো কার হাতে তুলে দেবে এ নিয়ে বিড়ম্বনায় রয়েছে। তাই বস্তার ৩৮ হাজার ৬৮০ টাকা তাদের হেফাজতেই রেখেছে। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ জানান, এনায়েতপুর হাটের আমতলা মোড়ের জোচনের চায়ের দোকানের কোনায় আবর্জনা মাখা বস্তা নিয়ে মাঝে-মাঝেই অবস্থান করতো সাদা ট্রাউজার ও গায়ে জাম্পার পরা কম্বল জড়ানো এক বৃদ্ধা পাগলী। সাথে থাকতো ময়লা মাখা একটি বস্তা। যা বহন করেই এনায়েতপুর হাট, কেজির মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সে বিচরণ করতো। গত রোববার বিকালে হঠাৎ বস্তাটি জোচনের চায়ের  দোকানের কোনায় রেখে বের হলে দোকানদার কৌতূহলবশত মুঠি বাঁধা বস্তাটি আংশিক খুললে মোচড়ানো অনেক টাকা দেখতে পান। তখন তা দেখতে কিছু লোকজন ভিড় করলে পাশে থাকা এনায়েতপুর থানার এসআই মেহেদী হাসান ছুটে এসে টাকার বস্তাটি স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের পর থানায় আনা হয়। এরপর থানা চত্বরে টাকার বস্তাটি পরিপূর্ণভাবে খোলা হলে শতাধিক পলিথিনে জড়ানো টাকা পয়সা মাটিতে ঢালা হয়। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে টাকার বস্তা দেখার জন্য থানা গেটে শ’ শ’ মানুষ ভিড় জমায়। তখন থানার প্রধান ফটক আটকালেও বেগ পেতে হয় কয়েকজন পুলিশকে। হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমীর হামজা সরকার, আবদুল আউয়াল শেখ, জোচন আলী, মজিবর রহমান, আবদুুল আজিদ সহ ১১ জন মিলে এক ও ৫ টাকার পয়সা, দুই, পাঁচ, দশ, বিশ, পঞ্চাশ, একশ’ টাকার মোচড়ানো নোটগুলো বিকেল ৫টা থেকে গুনে রাত ৮টা নাগাদ শেষ করে। এরপর সব মিলিয়ে হিসাব কষে ৩৮ হাজার ৬৮০ টাকা পাওয়া যায় বস্তাটি থেকে।

পাঠকের মতামত: