ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় তরুনলীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি চেয়রম্যানের!

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

চকরিয়ায় তরুনলীগ এক নেতাকে অস্ত্র দিয়ে পিছমুড়া বেঁধে পুলিশে সোপর্দের প্রকাশে হুমকি দিলেন খোদ ইউপি চেয়ারম্যান। মালয়েশিয়া ফেরত দু’যুবকের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় শালিস বৈঠক চলছিল। বৈঠকে কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের অযুক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী তরুনলীগের যুগ্ন আহবায়ক ইমরুল হাসান মুফিজ। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার রেগে যান। এ সময় শালিস বৈঠকে চেয়ারম্যান ওই নেতাকে প্রকাশ্যে হাকাবকাসহ হুমকি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে শাসিয়ে বলেন বাড়াবাড়ি করলে পরিনতি হবে ভয়াবহ। অস্ত্রদিয়ে রশি দিয়ে পিছমুড়া বেঁধে সোজা জেলে পাঠাবো। বস্তাভর্তি অস্ত্র আছে আমার। সেখান থেকে তুকে সাইজ করতে একটি মাত্র অস্ত্র প্রয়োজন। ওই যুবককে উদ্দেশ্যে করে চেয়ারম্যান বলেন অন্য কোন বিষয় নিয়ে কোনাখালীতে আসবিনা। বটতলি বাজারে দেখলে সাইজ করা হবে। ভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এসে মাতবরি করার সুযোগ আমি এখানে কাউকে দেয়নি। এদিকে চেয়ারম্যানের এহেন প্রকাশ্যে অস্ত্রের হুমকিতে হতভম্ব হয়ে যান উপস্থিত লোকজন। তারা চেয়ারম্যানের প্রকাশ্যে এ হুমকিতে বিচলিত হয়েছেন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের তরুনলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হুমকির পর শালিসি বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। তরুনলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনাকে ন্যাক্কার জনক অবহিত করে তারা কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারকে প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকরিরয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলি বাজারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওইদিন সন্ধ্যায় বটতলি বাজারে শালিসি বৈঠক হয়। বটতলি বাজার এলাকার বদিউল আলম প্রকাশ বদ এর ছেলে জাকের হোসেন ও পুর্ব বড় ভেওলা ঈদমনি এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো.ফারুক মালয়েশিয়ায় থাকতেন। জাকের হোসেন ফারুকের টাকা আতœসাত করে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। দু’জনেই বর্তমানে এলাকায় অবস্থান করছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ওইদিন বটতলি বাজারে বৈঠক হয়। ফারুকের পক্ষে বিএমচর এলাকার সাবেক মেম্বার মৃত.আলী আহমদের ছেলে ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা তরুনলীগের যুগ্ন আহবায়ক ইমরুল হাসান মুফিজ প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময় বাকবিতন্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার অস্ত্র দিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন। ইমরুল হাসান মুফিজ জানায় পাশ্ববর্তী ইউনিয়নে আমার বিচরন। তারা আমাকে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। অথচ চেয়ারম্যান যেভাবে বলেছেন মনে হয়েছে আমি বাংলাদেশের কেউ নই। অস্ত্রের প্রকাশ্যে হুমকিতে আমি সত্যি নিরাপত্তাহীন। মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী তরুনলীগের আহবায়ক ইশতিহার উদ্দিন আশিক জানায় বৈঠকে আমিও ছিলাম। এ বিষয়ে দু’দফা বৈঠক হয়েছে। ওইদিন বৈঠকে গন্যমান্য ব্যক্তিসহ কোনাখালী ইউপির দু’মেম্বারও ছিল। চেয়ারম্যান আমাদের নেতা মুফিজকে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মহত হয়েছি। একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির এমন আচরন মেনে নেয়া যায়না। এ ব্যাপারে শাহেদুল ইসলাম, মো.রফিক, সোহেল, সালাহ উদ্দিন, সুমন, মনিরসহ স্থানীয়রা জানায় বৈঠকে আমরা উপস্থিত ছিলাম। চেয়ারম্যান হুমকি দেয়ায় তাৎক্ষনিক বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: