ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্তক্তে বাধাঁ দেয়ায় বাবা-বোনসহ পরিবারের ৫জনকে মারধর

ahotaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে উত্তক্ত্য করার প্রতিবাদের জেরে বখাটে ও তার সহযোগিরা বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে ছাত্রীর বাবা, বোনসহ পরিবারের ৫জনকে বেধম প্রহার করা হয়েছে। শনিবার রাত সাতটার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁিড় উত্তরপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁিড় উত্তরপাড়া গ্রামের ছালামত উল্লাহ’র মেয়ে মর্তুজা বেগম ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে তার গতিরোধ করে একই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে বখাটে রাসেল নানা ধরণের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ওই ছাত্রী। এতে অতিষ্ট হয়ে শনিবার বিকেলে পরিবার সদস্যদের কাছে ঘটনাটি অবহিত করেন ওই ছাত্রী। পরে ছাত্রীর বাবা ঘটনাটির প্রতিবাদ করেন বখাটের পরিবারে।

আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবার দাবি করেছেন, উত্তক্ত্য করার প্রতিবাদ করার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত আনুমানিক সাতটার দিকে অভিযুক্ত বখাটে রাসেল, তার ভাই লোকমান ও সহযোগি করিমের নেতৃত্বে ৬-৭জনের দুর্বৃত্ত মিলে বাড়িতে ঢুকে পড়ার টেবিল থেকে ওই ছাত্রীকে টেনে হেচঁড়ে অপহরণের চেষ্টা করে। ওইসময় তার শোর চিৎকারে পরিবার সদস্যরা উদ্ধারে এগিয়ে আসলে দৃর্বৃত্তরা হাতুড়ি ও কাঠের বাট দিয়ে পিটিয়ে জখম করে ছাত্রীর পরিবারের ৫জনকে। আহতরা হলেন ছাত্রীর বাবা ছালামত উল্লাহ (৬৫), বড় বোন সাহিদা বেগম (২৭), জহুরা বেগম (৩৫), ভাবী মনোয়ারা বেগম (৩২) ও ছোট বোন ৬ষ্ঠ শ্রৈনীর ছাত্রী মাইমুনা আক্তার (১৩)। ঘটনার পর প্রতিবেশি লোকজনের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আক্রান্ত স্কুলছাত্রীর বাবা ছালামত উল্লাহ জানিয়েছেন, ঘটনার ব্যাপারে তিনি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, ছাত্রীকে উত্তক্ত্য করা ও বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: