ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় গুলি ছুঁেড় ক্ষেতের ধান লুটের মামলা দেয়ায় কৃষককে হুমকির অভিযোগ

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া

চকরিয়ায় দিনদুপুরে গুলি ছুঁেড় ক্ষেতের পাঁকা ধান লুটের ঘটনায় আদালতে মামলা করে বিপাকে পড়েছে কবির আহমদ (৮০) নামের ভুক্তভোগী কৃষক। আদালতের নির্দেশে কয়েকদিন আগে থানা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে গেলে অভিযুক্ত আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদি ওই কৃষককে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কবির আহমদ জানান, প্রায় ১৮বছর আগে তিনি ডুলাহাজারা মৌজার বিএস ৯৩২ নম্বর খতিয়ানের ১০৩২ দাগের ৫০শতক জায়গা তিনি বন্তোবস্তমুলে মালিক হন। সেই থেকে তিনি ওই জমিতে চাষাবাদ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছেন।

কৃষক কবির আহমদ অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘবছর ধরে তিনি শান্তিপুর্ণভাবে চাষাবাদ করে আসলেও চলতিবছরের ২০ এপ্রিল দিনদুপুরে তার জমিতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করে লুটে নিয়ে যায় জমির পাঁকা ধান। ওইসময় বাঁধা দিতে গেলে বন্দুকের বাটের আঘাতে গুরুতর আহত হন জমির মালিক পক্ষের কলেমা খাতুন (৬০) ও ছায়েরা খাতুন (৩৬) ও মিনহাজ উদ্দিন (২৬)। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এদিকে হামলার ঘটনাটি আক্রান্ত কৃষকের পক্ষ থেকে থানার ওসিকে জানানো হলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এসআই এনামুল হক ও এসআই সুকান্ত চৌধুরীকে। পুলিশ যাওয়ার আগে অভিযুক্ত দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে ওইসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করেন।

ক্ষেতের পাঁকা ধান কেটে লুটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কবির আহমদ বাদি হয়ে ঘটনার চারদিন পর ২৫ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৫জনকে আসামি করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে সামসুল আলম, শান্তিরঘাট উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ললিত মোহনের ছেলে মৃনাল কান্তি দে, কাটাখালী গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে রাসেল, ইউছুপ আলীর ছেলে মোক্তার আহমদ ও মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরো ১০-১৫জনকে।

মামলার কৃষক কবির আহমদ অভিযোগ করেছেন, ইতোমধ্যে আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য চকরিয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে অভিযুক্ত আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর থেকে অভিযুক্ত আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদি কৃষক কবির আহমদ।

 

পাঠকের মতামত: