ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মাজারে খুনের ঘটনায় মামলার অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতার হয়নি এখনো!

mamla.এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের শাহ ওমর (রা:) মাজারে ১১আগষ্ট রাতে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া রুহুল কাদের হত্যা মামলার কোন আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একমাস দশদিন সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারায় বাদি ও তার পরিবার সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী বাদি নিহতের স্ত্রী সায়েরা বেগম।
মামলার আর্জি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১১আগষ্ট রাত আটটার দিকে মাজার এলাকায় মাদক সেবনকালে কিছু যুবককে নিহত রুহুল কাতেরসহ স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে যান। ওইসময় তাদের ওপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে মাসকসেবীরা। ঘটনার পর রুহুল কাদেরকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যায় এবং দুই যুবককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত করে মাদকসেবীরা।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আগেরদিন রাতে হামলা চালিয়ে রুহুল কাদেরকে অপহরণ করে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা তাঁর লাশ ফেলে দেয় বাড়ির অদুরে মাজারের পুকুরে। খবর পেয়ে ১২ আগষ্ট সকালে চকরিয়া থানা পুলিশ মাজারের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে। নিহত রুহুল কাদের কাকারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কসাই পাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সায়েরা বেগম বাদি হয়ে আটজনকে আসামি করে গত ১৬ আগষ্ট চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, কাকারা ইউনিয়নের খাদেমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন, মাজারের খাদেম মৌলভী ইদ্রিছ, জমির উদ্দিন, মারুফ, আবু মিয়া, আবদুল নবী, এনাম ও রিদুয়ান। আদালতের বিচারক বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে রেকর্ট করতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করেছে।
বাদি ও পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, খুনের ঘটনায় হত্যা মামলাটি দায়ের হওয়ার পর প্রায় একমাস দশদিন সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ সুযোগে মামলার আসামিরা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বাদিকে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্ত্রী সায়েরা বেগম। এ অবস্থার কারনে বর্তমানে বাদি ও তার পরিবার সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সায়েরা বেগম।

পাঠকের মতামত: