ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিষিদ্ধ রাসায়নিকে তৈরি ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব (ভিডিও)

o-8অনলাইন ডেস্ক :::

সোডিয়াম বাইকার্বনেট সোজা বাংলায় খাবার সোডা । ক্ষতিকর এই রাসায়নিক এ দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে বহু আগে। যদিও এর আমদানি থেমে নেই, আসছে ভিন্ন ভিন্ন নামে। আগে ব্যবহার হতো খাবারে এখন ব্যবহার হয় ওষুধে। বিশেষ করে এর ব্যবহার হচ্ছে পাউডার ,ক্যাপসুল ও গ্যাসস্টিক জাতীয় ওষুধে।
এমনই কিছু ওষুধ কোম্পানির ভেজাল জাতীয় ওষুধের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে বিভিন্ন ফার্মেসীতে । আর সেই সব ওষুধ সেবন করে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নিজ জনগোষ্ঠীই।
যে অসুখ নিয়েই ডাক্তাররে কাছে জাননা কেনো প্রেসক্রিপশনে মূল ওষুধের সাথে গ্যাস্টিকের কিছু ওষুধ থাকবেই । কেনো যে সেইটা সেবন করতে হবে তা জনার সাহস ও সুযোগ কোনটাই নেই রোগীদের । কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মারপ্যাচ বুঝে কজন।
কিন্তু সমস্যা হলো ইদানিং এসব ওষুধ খুব একটা কাজ করছে না। এর প্রচলিত সমাধান করতে এবার তাহলে এর মূল কারন টা জানতে হবে। কিন্তু এভাবে চলবে কয়দিন ? তবুও জবাব মিলতে পারে সমস্যার অজানা মূলটা পেলেই ।
তাই অনুসন্ধানের শুরু বিভিন্ন ওষুধ কারখানায়। গাজীপুরের টঙ্গিতে পাওয়া গেলো বেশ কয়টি নিবন্ধিত কারখানা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্পর্শকাতর কাজ হয় সেখানে। তাই সব গুলোতেই প্রবেশ নিষেধ ।
শেষমেষ কৌশলেই পাওয়া গেলো গ্যাস্টিকের ওষুধ ঠিকঠাক কাজ না করার সম্ভাব্য কারন।
এন্টোসিড, ওমিপাজম কি ইন্টাপাজম এমন সক্রিয় উপাদানই নির্দিষ্ট পরিমানে থাকার কথা ওষুধে। কিন্তু ওষুধের প্যাকেটে সেসব থাকছে ঠিকই অনেক ক্ষেতেই শুধু জায়গা পাচ্ছে না ওষুধটাতেই।
দখলটা চলে গেছে খাবার সোডার কাছে। ট্যাবলেট,ক্যাপসুল আর পাউডার জাতীয় ওষুধের সাথে মিশানো হচ্ছে আটা,ময়দা আর সুজি। ধরা পড়াতো দুরের কথা সন্দেহ করাও সুযোগ নেই।
এসব ওষুধে প্রচুর পরিমানের ভেজাল এবং নিম্নমানের ভেজাল বলেও মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ফারুক। তিনি মন্তব্য করে আরো বলেন, এসব ওষুধে কাজ হওয়ার মতো কোনো উপাদনই নেই। যতোটু দরকার তার চেয়ে বেশি কাঁচামাল আনার অনুমতি নেয় তারা সরকারের কাছ থেকে। এইটা আনার পর সে হয়তো ঐ কাঁচামাল বিক্রি করে দিল আর যতো টুকু রইল এটাতে সে নানা রকমের মিশ্রণে পরিমান বাড়িয়ে দেয়। ফলে সে উভয় দিক থেকেই মুনাফা আয় করতে পারছে এবং ঐ সমাজটা এভাবেই চলছে। সূত্র: যমুনা টিভি

পাঠকের মতামত: