ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় হত্যাকান্ডের জেরে আসামি পক্ষের চিংড়ি প্রকল্পে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ!

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নুরুল হুদা হত্যাকান্ডের জেরে আসামি পক্ষের চিংড়ি প্রকল্পে হামলা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে চিংড়ি প্রকল্পে বেশ ক’বার হামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যরা। গত ৩০ জুন রাতে স্থানীয় আ.লীগ নেতা নুরুল হুদাকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় নিহতের আপন ভাতিজা আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা।

অভিযোগে মামলার আসামী আবু বক্কর ছিদ্দিকের বড় বোন ফিরোজা হাকিম জানান, গত ইউপি নির্বাচনে তার ভাই একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পক্ষ আপন চাচা হত্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে তাকে (ছিদ্দিক) জড়িয়ে দেয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, মামলার পর থেকে তার ভাই ছিদ্দিক ও পরিবারের পুরুষ সদস্যরা অন্যত্র পালিয়ে থাকলে এ সুযোগে গত পহেলা জুলাই থেকে অধ্যবদি তার ভাই ছিদ্দিকের পরিচালনাধীন চিংড়ি প্রকল্পে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি তাঁরা চিংড়ি জমির লবণের মাঠ ভিন্নজনকে জোরপুর্বক লাগিয়ত দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফিরোজা হাকিম দাবি করেছেন, তার ভাই ছিদ্দিকের পরিচালনাধীন ওই চিংড়ি ঘেরটি আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত মালিকদের পক্ষ থেকে ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তিমূলে লাগিয়ত নিয়েছে। কিন্তু দখলবাজেরা অস্ত্রের মুখে চিংড়ি প্রকল্পে হানা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ও মালামাল লুট করছে। তাঁরা ইতোমধ্যে ৫লাখ টাকার মাছ, তিন লাখ টাকার গৃহপালিত গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে গেছে

আসামি আবু ছিদ্দিকের বোন ফিরোজা হাকিম অভিযোগ করেছেন, হামলাকারী দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে তাঁরা এব্যাপারে থানা ও আদালতে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। ফিরোজা হাকিম তাঁর চাচা নুরুল হুদা হত্যাকান্ডের প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি তার ভাই আবু ছিদ্দিকের চিংড়ি প্রকল্প থেকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের তান্ডব বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই (চলতি দায়িত্ব হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আসামি পক্ষের চিংড়ি প্রকল্পে হামলা ও লুটপাট কিংবা তাদের পরিবারকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে আসামি পক্ষের লোকজন লিখিতভাবে থানাকে জানালে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: