ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ছারপোকার কামড়, দেখার কেউ নেই !

mail-google-comআতিকুর রহমান মানিক :::
চকরিয়ায় “ছারপোকা” নামক যাত্রীবাহী ম্যাজিক সার্ভিস মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। ঈদের বাহানায় চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও গলাকাটা ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে অপ্রচলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এই গাড়িগুলো। কিন্তু এসব যেন দেখার কেউ নেই।  ভূক্তভোগী যাত্রীরা জানান, সদ্যসমাপ্ত কোরবানীর ঈদের পর কর্মস্হল ও আত্নীয়-স্বজনের বাড়ী মুখী যাত্রীদের ভীড়ের সুযোগে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করেছে ছারপোকা গাড়ীগুলো। চকরিয়া থেকে পেকুয়া-মগনামা ঘাট রুট ও আমিরাবাদ-পদুয়া-কেরানী হাট রুটসহ অন্যান্য সড়কে চলাচল কারে ম্যাজিক সার্ভিস গাড়ী। যাত্রীদের কাছে “ছারপোকা” নামে পরিচিত এসব গাড়ীর মালিক শ্রমিকরা ঈদের পর হঠাৎ করেই ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগী যাত্রী জারিন বলেন, ঈদের পর কর্মস্হলমুখী যাত্রীদের চাপে বাসে সিট না থাকায় স্বল্পদুরত্বের যাত্রী নিচ্ছেনা বাসগুলো। এ সুযোগে ছারপোকা গাড়ী দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে। চকরিয়া থেকে আমিরাবাদগামী যাত্রী কেরামত বলেন, অন্য সময় আমিরাবাদের ভাড়া ৩০ টাকা নিলেও অপরিসর এ গাড়ীগুলোতে যাত্রীরা উঠতনা। কিন্তু এখন যাত্রীদের চাপের সুযোগে একই ভাড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকা আদায় করছে। একে “ছারপোকার কামড়” বলে অভিহিত করেন তিনি। একই অবস্হা চলছে পেকুয়া-মগনামা রুটসহ অন্যসব রুটে। মাইক্রোবাস চালক জামাল বলেন, চকরিয়া পুরাতন বাস ষ্টেশন এলাকায় ছারপোকা গাড়ীর শ্রমিকদের লাইন পরিচালনার অফিস। এ পয়েন্ট থেকে কোন যাত্রী তুলতে গেলে লাঠি-সোটা নিয়ে মারতে আসে তারা। এ প্রতিবেদক রোববার বিকালে ব্যক্তিগত কাজে পেকুয়া যাওয়ার সময় উপরোক্ত এলাকায় পৌঁছলে দেখা যায়, ছারপোকা গাড়ীর লাইন অফিসের সামনে নতুন ব্যানারে হাতে লেখা মনগড়া ভাড়ার চার্ট টাঙ্গানো রয়েছে। ডিজেল-পেট্রোলের দাম না বাড়লেও শুধুমাত্র ঈদের বাহানায় গলাকাটা ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের পকেট কাটছে ছারপোকা। আর এতে আর্থিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অফিসের সামনে থাকা লাইনম্যান এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজী হননি। এমনকি নাম বলতেও অপারগতা প্রকাশ করেন আকিজ বিড়ি টানায় ব্যস্ত লাইনম্যান ও কর্মকর্তারা। এরকম বিধিবহির্ভূত ভাড়া আদায়কারীদের বিরূদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবী জানিয়েছেন যাত্রীরা।

পাঠকের মতামত: