ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালী বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জব্দ করা স-মিল বিক্রির অভিযোগ

s-milডুলাহাজারা প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেন্জে জব্ধকৃত ৩ টি করাতকল (স-মিল) সহ সরান্জামাদী  গোপনে বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রেন্জের খুটাখালী বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জব্ধ করা করাতকলগুলো লোকচক্ষুর অন্তরালে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়া ওই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে খুটাখালী বিটের আওতাধীন বনবিভাগের বিপুল পরিমান বনভূমি ও সরকারী বনজ সম্পদ গাছপালা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ইতোমধ্যে খুটাখালী বনবিটের বর্তমান-প্রাক্তন হেডম্যান শাহ আলম মেম্বার, সাহাব উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, নুরুল আলম ও ছৈয়দ আহমদের জবানবন্দীতে বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক বনের জমি বিক্রি সহ জব্দকৃত স.মিল গোপনে বিক্রি পূর্বক আত্মসাৎ বিষয়ে সচিব বন ও পরিবেশ মন্ত্রানালয় ঢাকা, প্রধান বনসংরক্ষক ঢাকা, বনসংরক্ষক চট্টগ্রাম, দুর্নীতি দমন সংস্থা সেগুনবাগিচা ঢাকা, ডিজিএফআই মিরপুর ঢাকা, ডিবি কক্সবাজার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা যায় ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির সহযোগীতায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও, ভোমারিয়া ঘোনা, মেহেরঘোনা ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা, খুটাখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় বনবিভাগ। ওই সময় ফুলছড়ি রেন্জ কর্মকর্তা পরিমল বাবু, খুটাখালী বিট কর্মকর্তা অশুখ কুমার, এসিএফ রফিকুল ইসলাম দায়ীত্বরত ছিলেন। অভিযানকালে জব্ধকরা ৭ টি করাতকল ছাড়াও সরন্জামাদী গুলো ফুলছড়ি রেন্জের খুটাখালী বিট অফিসে জমা রাখা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত করাতকলের মধ্যে ছিল খুটাখালী থেকে ২টি, ইসলাপুর বাজার সংলগ্ন থেকে ১ টি, ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪ টি ছাড়াও বিভিন্ন করাতকলের জব্দ করা মুল্যবান সামগ্রী। বর্তমানে খুটাখালী বিট কমকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জব্ধকৃত করাতকলগুলো থেকে ৪ টি করাত কলের প্রধান অংশ রেখে অবশিষ্ট ৩ টি করাত কল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীগুলো লোকচক্ষুর অন্তরালে বিক্রি করে দিয়েছেন। সরেজমিনে খুটাখালী বিট অফিসের সামনে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৪ টি করাত কলের প্রধান অংশ পড়ে থাকতে লক্ষ্য করা গেলেও অবশিষ্ট ৩ টির অংশবিশেষের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।এদিকে বন কর্মকর্তার দুষ্কৃতির গোপন তথ্য প্রকাশ করায় বন কর্মচারী সাবেক হেডম্যান জয়নাল আবেদীন সহ অন্যান্যদের বনবিভাগের মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিটে ছাড়া করবে বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্জাক। এমনকি ১৯৮৮ সালে সরকার প্রদত্ত বসতবাড়ি থেকে যেকোন ভাবে উচ্ছেদ করবে বলে জয়নাল আবেদীনকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তিনি।
জানতে চাওয়া হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। এব্যাপরে ফুলছড়ি রেন্জ কর্মকর্তা মোকাম্মেল কবির উদ্ধার করা ৭ টি করাতকল খুটাখালী বিট অফিসে থাকার কথা স্বীকার করেন এবং ওগুলো এখনো আছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: