ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাড়ি ফেরার প্রতিযোগীতা, ফাঁকা হচ্ছে নগরী

eid-pic-1চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :::
কেবল অপেক্ষা। ঈদুল আজহার আর মাত্র এক’দিন বাকি। প্রিয়জনের সাথে ঈদ করার মজাই যেন আলাদা। সড়ক পথে নদী পথে কোথাও যেন তিল ধারনের ঠাই নেই। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। কেবল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে নগরী। কর্মব্যস্ত মানুষের চোখে মুখে যেন ছোয়া লেগেছে আনন্দের। কাজের ফাঁকে ঈদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও সেরে নিয়েছে অনেকে। সকাল নয় দুপুর নয় কাজকর্ম গুছিয়ে রাতেও বাড়ি পারি দিচ্ছেন মানুষ। তাছাড়া লম্বা ছুটি যেন বাড়তি বোনাস।

গত কয়েকদিন থেকেই শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চট্টগ্রাম ছাড়ছে। কে যাবে কার আগে’ যেন এক প্রকার প্রতিযোগীতা। শুধু ট্রেনে নয় সড়ক পথেও ছুটছে মানুষ। কেবল পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এ ব্যস্ততা। তাই চট্টগ্রাম নগরের চিরচেনা সেই কোলাহল কমে আসছে। তবে এখনো বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতার দেখা মিলছে। ক্রমান্বয়ে ফাঁকা হয়ে আসছে সড়কগুলো। যেভাবে নগরী ছাড়ছে মানুুষ সে ক্ষেত্রে আজ রবিবার রন্ধ্যার পরেই মুটামুটি ফাঁকা হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রেল স্টেশন গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের অপেক্ষায় কয়েক হাজার যাত্রী। অনেকে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। সকাল ৭টার ট্রেন ছেড়েছে সোয়া ৮টায়। ভিতরে সিট সংকুলান না হওয়ার কারনে ছাঁদে উঠে পড়েছে যাত্রীরা। অনেকে আবার চলন্ত ট্রেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠেছে। কষ্টের মাঝে ট্রেনে উঠতে পেরে ক্লান্তি এবং অপেক্ষার কষ্ট যেন নিমিষেই শেষ। চোখে মুখে যেন আনন্দের চাপ।

পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিলেট যাচ্ছেন আরিফুর রহমান। তিনি পেশায় একজন আইনজীবি। কথা হলে তিনি বলেন, কষ্ট করে টিকেট নিয়েছিলাম। দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর ট্রেনে উটতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, অধিক যাত্রী ট্রেনে উঠছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সাবধানে ট্রেন চালাচ্ছে চালক। হয়তো একারনে সিডিওলের কিছুটা বিপর্যয় ঘটতে পারে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সবাই যাতে বাড়ি পৌঁছতে পারে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। প্রতিদিন ৮টি আন্তনগর ও চারটি মেইলসহ ১৩টি ট্রেনে করে ১৫ থেকে ১৬ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে’র উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ছাড়ছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) রোকনুজ্জামান বলেন, আসনভিত্তিক টিকিট ১০ দিন আগেই বিক্রি হয়েছে। এখন স্ট্যান্ডিং (দাঁড়িয়ে ভ্রমণের) টিকিট কিনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, টানা সরকারি ছুটি রেয়ছে। গত শুক্রবারেই বেশিরভাগ সরকারি কাকুরিজীবীরা বাড়ি চলে গেছেন। আর যারা বেসরকারি প্রতিষ্টানে কর্মরত আছেন তারা আজ অফিস শেষ করে বাড়ি যাবে।

এদিকে সড়ক পথে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে বলে জানা গেছে। একদিকে দীর্ঘ যানজট অন্যদিকে সড়কের বেহাল অবস্থা। দুটি মিলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।

আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি গাড়ি আশা যাওয়া করছে। চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে কমপক্ষে ৪০হাজার যাত্রী প্রতিদিন নগরী ছাড়ছে।

সকালে নগরীর কদমতলী, বিআরটিসি ও অলংকার মোড়ে অবস্থিত বাস কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কদমতলী থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার যাত্রীরা গাড়িতে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। তবে বরাবরের মতই যাত্রীদের অভিযোগ যেন থেকেই যায়।

সকালে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিন চট্টগ্রামের হাজার হাজার মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। টিক মতো বাস পাচ্ছেনা। টিকেটের দামও বাড়তি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

 

পাঠকের মতামত: