ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

শহরে জালটাকা ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয়

%e0%a6%be%e0%a6%beনুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার :::

কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাট ও বিপনি বিতানগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠেছে । এই সুযোগে আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে জালটাকা নোট ও ছিনতাইকারীর উৎপাত। সরেজমিনে পর্যটন নগরীর কয়েকটি পশুর হাট ও শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক ধরণের ব্যস্ততা। তবে ক্রেতারা সঙ্কিত জালটাকা চক্র ও শপিং মলগুলোর সামনে উৎপেতে থাকা ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ব নিয়ে । ৮ সেপ্টেম্বর শহরের সোশাল ইসলামী ব্যাংকে এক ব্যক্তি টাকা জমা দিতে আসলে তার পাঁচশ টাকার বান্ডিলে একটি পাঁচশ টাকার নোট জাল সনাক্ত করেন ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার । পরে এই প্রতিবেদকের নজরে আসলে জালনোটটি ক্যামেরাবন্দি করতে চাইলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ঐ ব্যক্তি সেখান থেকে চম্পট দেই। এছাড়া বিভিন্ন গরুর বাজারে জালনোট চক্র সক্রিয় থাকলেও জালনোট সনাক্তকরণ মেশিনের ব্যবস্থা থাকায় ব্যবসায়ীরা মোটামুটি স্বস্তিতে আছেন বলে গেছে। অন্যদিকে ঈদকে সামনে রেখে বকাটে যুবকদেরও আনাগুনা বেড়ে যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের শপিং মলগুলোতে পছন্দের কেনাকাটা করতে আসা তরুণীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্তও করছে ভবঘুরে বিপদগামী কিছু উশৃঙ্খল যুবক। গোমাতলী থেকে পরিবারের সাথে কেনাকাটা করতে আসা কলেজছাত্রী আইরিন জানায়, তারা পছন্দের কাপড় কিনতে এসেছিল শহরের এ ছালাম মার্কেটে। মার্কেটের সামনে থেকে কয়েক যুবক তাকে অনুসরণ করে পিছু নেয়। যেই দোকানেই যাচ্ছে সেখানেই তারা গিয়ে হাজির । এক সময় নির্লজ্জের মতো অপরিচিত এক যুবক সামনে গিয়ে তাকে কিছু বলার চেষ্টা করছিল। এতে তারা বিব্রতবোধ করে তাড়াতাড়ি মার্কেট ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয় খালি হাতে। এ রকম অসংখ্য ইভটিজিংয়ের অভিযোগ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে মোটর সাইকেল পার্কিং করে বসে থাকা এ সব উশৃঙ্খল রোমিওদের বিরুদ্ধে। অনেক সময় অপরিচিত মহিলা দেখলেই তারা ছুড়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অশালীন বাক্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ওই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ অনেকের। এছাড়া যে কোন উৎসব আসলেই কেনাকাটার ব্যস্ততায় সক্রিয় হয়ে উঠে ছিনতাইকারী চক্র। সুযোগ বুঝেই তারা গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল লোকজনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, ভ্যানিটি ব্যাগ সহ স্বর্ণালংকারও। গতকাল কক্সবাজার বাস টার্মিনালের সামনে কিছুলোক ঘিরে ধরেছিলেন ২০ বছর বয়সী এক যুবককে। জানতে চাইলে এক মহিলা জানান, টমটমে একসাথে আসার সুযোগে ওই যুবক হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করলে সাথে সাথে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কোরবানের ঈদে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জানমাল ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে ঐ সমস্ত জালনোট চক্র ও ছিনতাইকারীদের প্রতি নজরদারি জোরদার করার দাবী সচেতন মহলের।

পাঠকের মতামত: