ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকার বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানে নাম মুছে ফেলতে পারবে না -লুৎফুর রহমান কাজল।

সরকার কর্তৃক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের স্বাধীনতা পদক প্রত্যহার ও জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারী থেকে তা সরানো হীন ও নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক ও সদর রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল। তিনি বলেন আওয়ামীলীগ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির মিথ্যাচারে নেমেছে। এ ধরণের ঘটনা দেশের ইতহাসে খারাপ নজির হয়ে থাকবে। তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে নাম অবিচ্ছেদ্য। তিনি জাতির ক্রান্তি লগ্ন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে কেবল স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রই পাঠ করেন নি জীবন বাজি রেখে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ সম্মাননা বীর উত্তম খেতাবে ঘোষিত করেছিলেন। তিনি শুধু বীর মুক্তিযুদ্ধাই ছিলেন না, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের পুর্ণপ্রবর্তক। তার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত সরকারে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বর্হিপ্রকাশ বলে মনে করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। এসব করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার অবদানকে খাটো এবং দেশের গণমানুষের মন থেকে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা মুছে ফেলা যাবে না। তিনি অবিলম্বে এ স্বাধীনতা পদক যথাস্থানে স্থাপন করার জোরালো দাবী জানান সরকারের প্রতি। গতকাল কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভাপতির বক্তব্যে জনাব শাহজাহান চৌধুরী বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় কে কোথায় ছিলেন জাতি জানে। অনেকে তখন পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন অবৈধ ক্ষমতাসীনরা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারে পতন ঘটাতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল হুদা চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডঃ আবু ছিদ্দিক ওসমানী, রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস.এম ফেরদৌস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোহাম্মদ আলী, মৎস্যজীবি দলের জেলা সভাপতি হামিদ উদ্দিন ইউছুফ গুন্নু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এডঃ মনির উদ্দিন, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি ফরিদুল আলম, শহর যুবদলের সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন রবিন, জাহিদুল ইসলাম রিটন, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, শহর শ্রমিক দলের সভাপতি এস্তাক আহমদ, সিটি কলেজ ছাত্রদল আহ্বায়ক সাইফুর রহমান নয়ন, জেলা যুবদলের দুলন ধর, মোঃ ইসমাইল, রামু উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল আবছার, উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিদুয়ান ছিদ্দিক।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য এম মোক্তার আহমদ ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুবেদার মেজর (অবঃ) আব্দুল মাবুদ, রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ ইউনুছ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন, রামু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল বশর বাবু, বিএনপি নেতা মুজিবুল হক মিয়াজী, সৈয়দ নূর, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন রিপন, সদর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ, সদর ছাত্রদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিপু, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সিঃ সহ-সভাপতি জয়নুদ্দিন জনি প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: