ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সড়কে গাড়ি থামিয়ে চলছে চাঁদাবাজি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

pekua-dc-newনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় সড়কে গরু বাহি গাড়ি থামিয়ে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। ঈদ-উল আযাহাকে ঘিরে একটি সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র কোরবানি পশু পরিবহনে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে মেতেছে। মগনামা-চকরিয়া সড়কের পেকুয়া বাজার ও উপজেলার আঞ্চললিক মহাসড়ক (এবিসি সড়কের) চৌমুহনী কলেজ গেইট পয়েন্টে ছাড়াও একাধিক স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। এদিকে সড়কে গরুবাহি গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে পেকুয়ায় স্থানীয়দের সাথে চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহষ্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর) রাতে পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে কোরবানির ঈদকে ঘিরেপেকুয়া বাজারে ৬-৭জনের একটি চি‎িহ্নত চক্র চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। পেকুয়া বাজার উপকুলের মধ্যে অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র। দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার পশুর সমাগম ঘটে ওই বাজারে। মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত পশু গাড়ি যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন উপকুলবর্তী কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়া উপজেলার মগনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ইউনিয়ন থেকে পেকুয়া হয়ে সড়কের এসব পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন পরিবহন হচ্ছে। একইভাবে এবিসি সড়ক দিয়েও প্রতিদিন গাড়ি ভর্তি গরু যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ওই সুবাধে পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনীতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজ চক্র প্রতি গাড়ি থেকে ১০-১৫হাজার টাকা আদায় করছে। কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী এলাকার গরু ব্যবসায়ী ওমর আলী জানায় গত বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ৮টি গরু গাড়ি ভর্তি করে মগনামা ঘাট থেকে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলাম। চৌমুহনীতে পৌছলে ৬-৭জন মিলে গাড়ি আটকায়। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ১১হাজার টাকা নেয়। গরু কয়ের রশিদ দেখিয়েছি। কিন্তু তারা দাবি করছে পেকুয়া দিয়ে নিতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হবে। ওমর আলীর পার্টনার চকরিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানায় ভোলাইয়াঘোনার জাফর আলম, গোঁয়াখালীর হারুন, মিয়াপাড়ার আজিম প্রকাশ দাঁড়ি আজিম, মৌলভী পাড়ার নুর মুহাম্মদসহ কয়েকজন চাঁদাবাজ ব্যক্তি আমাদের গাড়ি থামিয়ে ১১হাজার টাকা আদায় করেছে। বিষয়টি আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনকে অবহিত করেছি। বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার গরু ব্যবসায়ী মইদু রহমান জানায় আমি গাড়ি করে ২টি গরু চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। চৌমুহনীতে গাড়ি আটকিয়ে ওই চক্র আমার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা নেয়। মগনামা এলাকার ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানায় গরু নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় পেকুয়া বাজারে নেয়া হচ্ছে চাঁদা। গাড়ি করে গরু নিয়ে যাচ্ছিলাম লোহাগাড়া। পেকুয়া বাজারে গাড়ি আটকিয়ে আমার কাছ থেকে হারুন, জাফরসহ কয়েকজন চাঁদাবাজ ব্যক্তি নানা অযুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১০হাজার টাকা আদায় করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন পেকুয়া বাজার দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়া যাচ্ছেনা। কয়েকজন চাঁদাবাজ সক্রিয় হয়ে গরুর মালিক ও ক্রেতাদের কাছ থেকে বাধ্য করে টাকা আদায় করছে। ওদের কারনে পেকুয়ার ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব অপকর্মের কারনে বাজারে পশু বিক্রির ধ্বস দেখা দিয়েছে। উথ¥াপিত অভিযোগের বিষয়ে জাফর আলম কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ যদি ওই কাজে আমার নাম বলে থাকে এদরকে মুখোমুখি করান। এসব অভিযোগ সত্য না মিথ্যা আমি জানিনা। আমি এলাকায় নেই কয়েকদিন ধরে। গত মঙ্গলবার হাটের দিন ২টি গাড়ি ধরেছিলাম। তারা গরু বিক্রি করে রশিদ না কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। পরে তারা হাসিল দিয়ে চলে গেছে। কে কোথায় চাঁদা নিচ্ছে এসবে আমি নেই। কেউ বলে থাকলে মুখেতো আর হাত দেয়া যাবেনা। একইভাবে নুর মুহাম্মদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে বলেন আমি কিছু জানিনা। ওপেন টাকা নিলে দশজনে দেখবে। আমি আছি কিনা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

পাঠকের মতামত: