ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নে অবৈধ ৪০টি বসতঘর উচ্ছেদ

zমিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ৪০টি বসতঘর উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন কাকারা বনবিটের সামাজিক বনায়নে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময় বরাদ্দ দেয়া কাকারা বিটের সামাজিক বনায়ন নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেঁচাকেনা ও জবরদখল করে অন্তত সাড়ে ৩’শ বসতঘর নির্মাণ করা হয়। বিক্রয় না করা উপকারভোগীরা বনায়ন রক্ষা করতে না পেরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারণে সাড়া দেয়নি বনবিভাগ। গত ৪সেপ্টেম্বর উপকারভোগী আবু সুফিয়ানকে জবরদখলকারীরা কুপিয়ে জখম করলে টনক নড়ে বনবিভাগের। পরে আজ ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে চালানো অভিযানকালে সঙ্গে ছিলেন ফুলছড়ি সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খান, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমানসহ বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানকালে ফরেস্ট বিট লাগোয়া জাম বাগানে নির্মিত ৪০টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়। নিকটবর্তী সামাজিক বনায়নে নির্মিত তিন শতাধিক অবৈধ বসতঘর পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলে ইউএনও জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমানকে মাইকিং করে প্রচার করতে বলেছি সামাজিক বনায়ন বেঁচাকেনা, বনভুমি দখল ও অবৈধ বসতি গড়ে না তুলতে। পাশাপাশি নির্মিত বসতি স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে। ##

পাঠকের মতামত: