ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ৩দিন পর অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৩ অপহরণকারী আটক

BREKING NEWSচকরিয়া প্রতিনিধি :::
অপহরণে ৩দিন পর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নাটকীয়ভারে উদ্ধার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। ওই মাদ্রাসা ছাত্রের সাথে আটক করা আরো ২জন মাদ্রাসা ছাত্র অহরণকারীকে। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র তৌহিদ চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দ্বীপকুল পাড়া এলাকা প্রবাসী নুরুল ইসলামের পুত্র। আজ ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার সময় কক্সবাজারস্থ আল আলাফা ইমলামী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে মুক্তি পণের টাকা তুলতে গিয়ে অপহৃত ও অপহরনকারীসহ ৩ জনকে কৌশলে আটক করা হয়েছে। আটক অপহরণকারীরা হল জাহেদুল ইসলাম, পিতা হোছাইন আহমদ, সাং রামপুর, সাহারবিল, চকরিয়া ও মাহমুদুল হাসান পিতা শফিক উল্লাহ, সাং শাহ পরীরদ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজর।
অপহৃতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার লক্ষ্যারচর ছিকলঘাটাস্থ আমজাদিয়া রফিকুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র ইয়াছিন আরাফাত তৌহিদ (১৫) গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় গিয়ে নিখোজ হয়ে গেলে তার আত্বীয় স্বজনরা তৌহিদকে অপহরণ করা হয়েছে বলে চকরিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়। অপহরণকারী তখন থেকে অপহৃত তৌহিদদের মোবাইলসহ ৩টি মোবাইল থেকে বারবার ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছে। সর্বশেষ দরকষাকষির এক পর্যায়ে মাত্র ৮০হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তৌহিদকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। অপহরণকারীরা প্রথমে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিতে রাজি হলেও পরে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে রাজি হয়েছে। সে অনুযায়ী অপহরণকারীরা সকালে কক্সবাজারস্থ আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট নাম্বারে মুক্তিপণের ওই ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে বলে। অপহৃতের আত্বীয় স্বজনরা চকরিয়া থানাকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় এবং পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ৮০ হাজার টাকা ওই নাম্বারে জমা করার পর মোবাইলে অপহরনকারীদের জানালে তারা টাকা জমা হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে ওই ব্যাংকের শাখায় টাকা তুলতে গেলেই আগে থেকেই কৌশলে ওৎপেতে থাকা পুলিশ তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। এসময় পুলিশ অপহৃতসহ ৩জন অপহরণকারীকে আটক করে চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপহৃতের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র তৌহিদের প্রবাসী পিতা নুরুল ইসলাম তাকে চাহিদা মতো টাকা না দেয়ায় সে নিজেই টাকা আদায় করার জন্য অপহরণের নাটক সাজিয়েছে । সর্বশেষ রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চকরিয়া খানার পুলিশ আটককৃত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: