ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় বাজারে বিকিকিনির ধুম, চাহিদা দেশী গরুর

cowনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে বেড়েছে দেশীয় গরুর চাহিদা। ঈদ-উল আযাহাকে ঘিরে পেকুয়ার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজারে) জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। গত এক মাস আগে থেকে ক্রেতারা পেকুয়া বাজার থেকে কোরবানি সারতে পশু কেনা শুরু করেছেন। পশু বিকিকিনির জন্য পেকুয়া বাজার প্রসিদ্ধ। পেকুয়া উপজেলা ছাড়াও জেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ বাজারে পশু ক্রয় করতে ক্রেতারা ভীড় করছেন। পেকুয়া বাজারে সব ধরনের পশু পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের চাহিদা দেশীয় প্রজাতির গরুর দিকে। বড়, মাঝারী, ছোট আকৃতির গরুর সমহার এ পেকুয়া বাজারে। সাপ্তাহিক হাটের দিন কেনা বেচা হচ্ছে শতশত পশু। পেকুয়া বাজারে সারা বছর গরু বিকিকিনি হয়। ্এর মধ্যে কোরবানের এক মাস আগে থেকে রের্কড় সংখ্যক পশু বিক্রি হয় এ বাজার থেকে। গরুর পাশা পাশি মহিষ, ছাগল, ভেড়াও বিক্রি হচ্ছে দেদারচ্ছে। তবে এ বছর কোরবানির পশুর দাম ব্যাপক। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু চড়া। বড় গরুর চেয়ে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা ক্রেতাদের মাঝে বেশি। এ ক্ষেত্রে মাঝারী ও ছোট সাইজের পশুর দাম বেড়েছে আকাশচুম্বি। পেকুয়া বাজার পশু বেচা কেনার জন্য উত্তম স্থান। এখানে হাজার হাজার পশু বিক্রির জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। জানা গেছে পেকুয়ায় আরো একাধিক স্থানে কোরবানি পশুর হাট বসেছে। ঈদ-উল আযাহাকে ঘিরে এসব হাটের সম্প্রসারন হয়েছে। শুধু মাত্র কোরবানি বেচা কেনার জন্য অস্থায়ী ভাবে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে পশু বিকিকিনি হচ্ছে। এসবের মধ্যে বারবাকিয়া বাজার, সোনালী বাজার, আরবশাহ বাজার, হাজ্বি বাজার, শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় ষ্টেশন, ফুলতলা ষ্টেশন ও মুহুরীপাড়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল, ভেড়া। বাজার কমিটি ও ইজারাদারের যৌথ সমন্বেয়ে অবাধে পশু কেনা বেচার জন্য আলাদা স্থান নির্ধারিত রয়েছে আগেবাগে। ওই স্থান থেকে বিক্রেতা ও ক্রেতারা তাদের কেনাকাটা সারতে সক্ষম হন। পেকুয়া বাজারের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম জানায় পেকুয়া বাজার পশু বিকিকিনির জন্য পেকুয়াসহ উপকুলের অন্যতম মাধ্যম। সাপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার হাটের দিন প্রায় ১০হাজার পশুর সমাগম ঘটে। গত শনিবার হাটের দিনে প্রায় চারশত কোরবানি পশু বিক্রি হয়েছে। এখানে কেউ ঠকছেননা। বাজারে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লেনদেনে জাল নোটের ছড়াছড়ি রোধ করতে রিডেবল মেশিন (জাল নোট সনাক্তকরন মেশিন) বসানো হয়েছে। পকেট কাটা, হাইজেক, চিনতাইসহ অপতৎপরতা রোধ করতে পশুর হাটে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ইজারাদারের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিহাজার ত্রিশ টাকা হাসিলের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আমরা হাসিল নিচ্ছি ২৫টাকা হাজারে। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় বাজারে সার্বক্ষনিক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিদিন টহল দিচ্ছে বাজারসহ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে। আগামিকাল (আজ) থেকে বাজারে পুলিশ উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ শর্তকতার সাথে কাজ করছে। পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ীক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.এর সেক্রেটারী মো. মিনহাজ উদ্দিন জানায় প্রশাসন বাজার কমিটি ও ইজারাদার মিলে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক দেখা শোনা করছি বাজার ব্যবস্থা। কেউ যাতে হয়রানি না হয় এ ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পেকুয়ার ইউএনও মারুফুর রশিদ খান জানায় পেকুয়া বাজারে হাজার হাজার ক্রেতারা সমাগম হয়ে থাকে। এখানে যাতে করে কোন ধরনের ভোগান্তি ও হয়রানি না হয় তার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। পশু পরীক্ষা নিরীক্ষনের জন্য ভেটেনারী ল্যাব সংরক্ষন করা হয়েছে। পশু চিকিৎসকরা রোগ নিরুপন করছেন। বাজারে পশু তোলার পর এগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: