ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় জব্দকৃত করাতকল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার :
চকরিয়ায় বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে জব্দকৃত অবৈধ করাতকল (স’মিল) গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তিনি ওই বিটে যোগদানের পর থেকে বনভূমি বিক্রিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
স্থানীয় শাহ আলম মেম্বার, সাহাব উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, নুরুল আলম ও ছৈয়দ আহমদ অভিযোগ করেন, বিট কর্মকর্তা হিসেবে খুটাখালী বনবিটে যোগদানের পর থেকে আবদুর রাজ্জাক জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে। এনিয়ে তারা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত তিনবছরে বিভিন্ন আইন-শৃক্সক্ষলা বাহিনীর সহায়তায় বনবিভাগ কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও, ভোমরিয়া ঘোনা, মেহেরঘোনা ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা, খুটাখালীসহ বিভিন্নস্থানে যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় সাতটি অবৈধভাবে স্থাপিত সাতটি করাতকলের লাইসেন্স না থাকায় জব্দ করা হয়। জব্দকৃত করাতকলগুলো মজুদ রাখা হয় খুটাখালী বনবিট কার্যালয়ে। কিন্তু আবদুর রাজ্জাক বিট কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর মজুদ থাকা সাতটি করাতকলের মধ্যে তিনটি করাতকলসহ নানা যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিটের এক কর্মচারী বলেন, ‘ইতিপূর্বের অভিযানের সময় জব্দকৃত সাতটি করাতকলই মজুদ ছিল বিটে। কিন্তু বিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটি করাতকলসহ নানা যন্ত্রণাংশ বিক্রি করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, ইতিপূর্বে অভিযানের সময় জব্দকৃত সবকটি অবৈধ করাতকলই মজুদ রয়েছে এবং যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তা মুখস্ত কথা।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকাম্মেল কবির বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিয়েছি। আমি যতটুকু জানি করাতকলগুলো বিটেই আছে।’

পাঠকের মতামত: