ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মীর কাসেম আলী আওয়ামী প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন” -জেলাব্যাপী গায়েবানা জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তারা

14211960_1146368108787784_7867765518114407095_nপ্রেস বিজ্ঞপ্তি ::

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সফল ইসলামী অর্থনীতিবিদ শহীদ মীর কাসেম আলীর জেলাব্যাপী গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, শহীদ মীর কাসেম আলী বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া বানানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে সফল একজন ব্যক্তিত্ব ছিল মীর কাসেম আলী। তার উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিভা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত করেছিলেন আজীবন। তিনি বাংলাদেশে সূদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেছিলেন। সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের কম খরচে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে দেশের বিভিন্নস্থানে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। কক্্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়ার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করনে ঐতিহ্যবাহী রাবেতা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধ নয় মীর কাসেম আলীর বহুমূখী প্রতিভা ও দক্ষ সংগঠকের ভূমিকা আ’লীগের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নচারী মানুষটি আজ আওয়ামী প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। আ’লীগকে একদিন এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। বিদেশী প্রভুর তাঁবেদারী করতে কালো হাতের ইশারায় একে একে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশবাসী সময়-সুযোগ পেলে আওয়ামী প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরম জবাব দিতে ভুল করবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্্সবাজার শহর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অদ্য বিকাল ৫টায় কক্্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। শহর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর সাইদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ, শহর সহকারী সেক্রেটারি আবদুললাহ আল ফারুক, ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান, আকতার হোছাইন প্রমূখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য , বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সফল ইসলামী অর্থনীতিবিদ শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়-

উখিয়া: উপজেলা কোটবাজার বালিকা মাদরাসা মাঠে বেলা ২ ঘটিকায় এক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল ফজল। বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সোলতান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিকনেতা শাহআলম, মাষ্টার নুরুল ইসলাম ছাত্রনেতা কামাল উদ্দিন প্রমূখ।

টেকনাফ: উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বাহারুল উলুম মাদরাসা মাঠে এক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ নুর হোছাইন ছিদ্দিকী, সেক্রেটারি আবদুস সোবহান প্রমূখ। এছাড়া উপজেলার বাহারছড়াতে হাফেজ দরবেশ আহমদের ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা হামিদুল হক ইবরাহীম মাহমুদ প্রমূখ।

অপরদিকে টেকনাফ সদর এলাকায় শহীদ মীর কাসেম আলীর এক গায়েবানা জানাযা মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়বের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফরিদুল আলম, আবদুল খালেক আবদুল মাজেদ ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

চকরিয়া: চকরিয়া জামায়াতের উদ্যোগে বেলা ২টায় শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌর আমীর আকতার হোছাইন, উত্তর আমীর মাওলানা ছাবের আহমদ, দক্ষিণ আমীর মু. হেদায়ত উল্লাহ, পৌর সেক্রেটারি আরিফুল কবির, উত্তর সেক্রেটারি রশিদুর রহমান, দক্ষিণ সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক , লক্ষ্যাচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়সার ও মাওলানা সাইদ প্রমূখ।

পেকুয়া: উপজেলার একাধিক স্থানে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। রাজাখালীতে সকাল ৮টায় এক গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শফিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী সেক্রেটারি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জমান মন্জু ও মাস্টার শওকত আলম প্রমূখ।

এছাড়া উপজেলা বারবাকিয়াতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শের আলী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জমান মনজু, ডা. নুরুল কবির, আবদুর রহিম, মনজুর আলম প্রমূখ।

মেহেরনামাতেও শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাওলানা রুহুল আমিন ও মাওলানা নুরুল আবছার প্রমূখ।

টৈটং: টৈটং এ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা মাওলানা জিয়াউল হকের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইবরাহীম, মাওলানা ইউছুফ, মাহবুবুর রহমান, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হানিফ প্রমূখ।

কুতুবদিয়া: উপজেলা ধুরুং স্টেডিয়ামে বাদ আছর শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমীর মাওলানা আনোয়ার হোছাইনের ইমামতিতে অনুষ্টিত জানাযায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারি ও চেয়ারম্যান আসম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমূখ।

মহেশখালী: উপজেলা বিভিন্নস্থানে শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২ ঘটিকায় শাপলাপুরে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা নুুরুল হক। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর জাকের হোছাইন, মাওলানা আবু সুফিয়ান, মাওলানা ইহতেশাম বিল্লাহ, মাওলানা আইয়ুবুর রহমান, মাওলানা আবদুশ শুকুর, মাওলানা শফিউল আলম প্রমূখ।

দুপুর ২ ঘটিকায় উপজেলা নলবিলাতে মাওলানা রশিদ আহমদের ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উত্তর আমীর আবদুশ শুকুর, নজরুল ইসলাম প্রমূখ।

বড় মহেশখালীতে মাওলানা সিরাজুল হকের ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল মালেক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, এনামুল হক, মাস্টার গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ শামীম ও সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

উপজেলার হোয়ানক পানিরছড়াতে শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আমিনুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন মাসাটার আজিজুল হক, মাওলানা আবদুল মালেক আজাদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমূখ।

মহেশখালী পৌর এলাকায় মাওলানা ঈসমাইল আজাদের ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী দক্ষিণ সেক্রেটারি মাস্টার শামীম ইকবাল, মাওলানা মুহাম্মদ হাসেম, মাওলানা শামশুল আলম ও ছাত্রনেতা আলিম উদ্দিন প্রমূখ।

ঈদগাও: ঈদঁগাও হাইস্কুল মাঠে শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাযা বাদ আছর অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মাওলানা সলিম উল্লাহ জিহাদীর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত জানাযাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা দেলাওয়ার হোছাইন, মাওলানা সৈয়দ নুর, থানা সেক্রেটারি মাস্টার সৈয়দ আলম, মাওলানা মুহাম্মদ হারুন, ডা. সোলায়মান মোর্শেদ ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: