ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

01প্রেস বিজ্ঞপ্তি :::

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাজা, ৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার বাদআসর কক্সবাজার সরকারী কলেজ প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন প্রবীণ জননেতা মাওলানা আব্দুল গফুর।

 জানাজা পূর্ব সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ, শহর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ¦ সাইদুল আলম, এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী আবদুল্লাহ আল ফারুক, ছাত্রশিবির শহর সভাপতি আকতার হোসাইন, জেলা সভাপতি আজিজুর রহমান প্রমূখ। আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন জেলা সভাপতি মাওলানা আলমগীর, রামু উপজেলা আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, জেলা অফিস সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শফিউল হক জিহাদী, শহর জামায়াত সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুহসিন প্রমুখ।

 সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ”শাহাদাতের মৃত্যুই জান্নাতের নিশ্চিত গ্যারান্টি”। আল্লাহর দ্বীনের কাজ করতে অসংখ্য নবী-রাসুল ও আল্লাহর নেকবান্দাহ জীবন দিয়ে শাহাদাতের অমীয়সূধা পান করেছেন। আসুন আমরা শহীদের উত্তরসূরি হিসাবে তাদের রেখে যাওয়া কাজকে আন্জাম দেওয়ার শপথে বলীয়ান হই। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। তারা বলেন, শহীদ মীর কাসেম আলীকে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তার সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শহীদ মীর কাসেম আলী সম্পূর্ণভাবে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।

 নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মীর কাসেম আলীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনা আবারও বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একের পর এক ফাঁসি দিয়ে হত্যা করছে। তার প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলায় এ দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে ইন্শাআল্লাহ এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন আরো মজবুত ও দৃঢ় ভিত্তি লাভ করবে।

পাঠকের মতামত: