ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে তর্কাতর্কি, থানা হাজতে নব্য আ.লীগ নেতা

karadondচকরিয়া অফিস :

চকরিয়া উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে তর্কাতকি করার কারনে নবী হোসেন নামে আওয়ামীলীগের নব্য এক নেতাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। ছয়ঘন্টা থানা হাজতে হাজতবাস শেষে মুছলেকা নিয়ে তাকে ছেঁেড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের দপ্তরে ঘটেছে এ ঘটনা। দন্ডপ্রাপ্ত নবী হোসেন উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সুত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল আড়াইটার দিকে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম উপজেলা পরিষদস্থ তাঁর কার্যালয়ে বসে মামলার একটি আদেশ দেন। ওইসময় সেখানে উপস্থিত হয়ে আদালতের সাথে অযাচিত বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন সাহারবিল ইউনিয়নের নব্য আওয়ামীলীগ নেতা নবী হোসেন। এ অবস্থার পর আদালতের নির্দেশে চকরিয়া থানার এসআই মাহাবুবর রহমানসহ সঙ্গিয় পুলিশদল সেখান থেকে নবী হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত তাকে থানা হাজতে আটক রাখে পুলিশ।

চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, আদালতের সাথে বাড়বাড়ি করার কারনে তাকে আটক করা হয়। পরে এদিন রাত ৯টার দিকে আদালতের নির্দেশে মুছলেকা নিয়ে তাকে ছেঁেড় দেওয়া হয়।

 ###################

 চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় আসামীরা জামিনে এসে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি

 চকরিয়া অফিস:

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীরা জামিনে এসে মামলার বাদী প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে বাদী আজিজ ও তার পরিবার চরম নিরপাত্তাহীনতা ভোগছেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাদী আজিজ ও তার মা কুলছুমা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরইমধ্যে আসামীরা জামিন নিয়ে ফের হুমকি দেওয়াতে তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গান্ধী পাড়া মৃত নজির আহমদ পুত্র মো: আজিজ গংদের প্রায় ৯শত জমি রয়েছে। পৈত্রিকভাবে পাওয়া ওই জমি বর্তমানে তারা ভোগদখলে রয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্ত এসব জমি নিজের বলে দাবী করে ভোগ দখলের চেষ্ঠা করছেন। গত ১৯ আগষ্ট বিকাল তিনটায় ওই এলাকার বোরহান উদ্দিন, রিদুয়ানুল হক ও রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জোরপূর্বকভাবে ওই জমি দখলের চেষ্ঠা চালায়। তারা জমির চারপাশের ঘেরাবেড়া উপড়ে ফেলে। বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। এসময় আজিজ (৩৫) ও তার মা কুলছমা বেগম (৪৫) বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা লোহার রট, দা ও কিরিচ দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের মারাত্মক অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় আজিজ বাদী হয়ে ৭জনের নাম উলেলখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার বাদী আজিজ জানান, সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমন কী প্রাণে হত্যারও হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের ফের হামলার ভয়ে আজিজ ও তার পরিবার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।

পাঠকের মতামত: