ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী ছাত্রনেতা ফোরকান নীতিতে অটল ছিলেন বলেই স্বাচ্ছন্দে ৫বছর মেয়র পদে ছিলেন

FORKANএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: আওয়ামীলীগের নেতৃত্বধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আরোহনের পর থেকে দেশের প্রভৃতি স্থানে বিএনপি সমর্থিত মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের অনেকে আইনী গ্যাড়াকলে বরখাস্ত হয়েছেন। তাদের স্থলে আওয়ামীলীগ ঘরনার মেয়র, কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিগত সময়ে দেশের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপির সমর্থিত হলেও বরখাস্ত হওয়ার প্রতিহিংসার আঁচড় থেকে রক্ষা পেয়েছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র ও চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আলহাজ নুরুল ইসলাম হায়দার।

স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মতে, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের প্রিয়নেতা আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদ সেইদিন পরীক্ষিত ছাত্রনেতা পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বিপুল ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম ফোরকানকে পৌরসভার এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করার কারনেই গত পাঁচবছর অনেকটা নিরাপদে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন বিএনপির টিকেটে নির্বাচিত মেয়র আলহাজ নুরুল ইসলাম হায়দার। নেতাকর্মীদের দাবি, অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের বেশির ভাগ পৌরসভার মেয়র ও বিএনপির ঘরণার জনপ্রতিনিধিরা আইনী গ্যাড়াকলে পড়ে দায়িত্ব হারালেও সাবেক ছাত্রনেতা ফোরকান নীতিতে অটল ছিলেন বলেই চকরিয়া পৌরসভার মেয়র পদে স্বাচ্ছন্দে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন মেয়র হায়দার। প্যানেল মেয়র শহীদুল ইসলাম ফোরকান দায়িত্ব পালনকালে সব ধরণের লোভ-লালসা পরিহার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জনপদের প্রিয়নেতা আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদের দেয়া দায়িত্ব সততা ও নিষ্টার সাথে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।

স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী দাবি করেন, বিগত সময়ে আওয়ামী সরকার বিরোধী কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন ফোরকান। দলের পক্ষে রাজপথের মিছিলে থাকার কারনে ইতোমধ্যে তিনি রাজনৈতিক হয়রানী মুলক অন্তত ডজন মামলার আসামি হয়েছেন। মামলায় আসামি হলেও তিনি কোনদিন এলাকা থেকে আত্মগোপনে ছিলেন না, এমনকি সংগঠনের বাইরে ছিলেন না। সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে তাদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়েছেন। তার বড়গুন নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে তিনি সাধ্যমত খোঁজ-খবর নেন। দলের প্রোগ্রামে তিনি সবসময় সরব থাকেন।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এবারের চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সম্মেলনে সভাপতি পদে পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল ইসলাম ফোরকান প্রার্থী হয়েছেন। বিগত পৌর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের প্রিয়নেতা আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তিনি এখনো জাতীয়তাবাদী দলের আর্দশে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। যেই কারনে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে তুলনামুলক ভাবে নেতাকর্মীদের মাঝে ফোরকান নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ করতে পেরেছেন। নেতাকর্মীরাও চাইছেন, দলের বর্তমান দু:সময়ে সংগঠনকে বিকশিত করতে পারে এমন জনপ্রিয় সংগঠককে চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব দেবেন দলের নীতিনির্ধারক মহল। নেতাকর্মীরা এই জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তাদের অভিভাবক সালাহ উদ্দিন আহমদ শেষ মুর্হুতে কার ওপর চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের এই দায়িত্বটি তুলে দেন।

নিজের অভিমত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী সাবেক প্যানেল মেয়র শহীদুল ইসলাম ফোরকান বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদের আদর্শে ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করি। পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনোনীত করার পর সালাহ উদ্দিন আহমদের দেয়া গুরু দায়িত্ব সততা ও নিষ্টার সাথে পালন করতে চেষ্টা করি। কোনদিন দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন ধরণের অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত হয়নি। বিগত ৫টি বছর সালাহ উদ্দিন আহমদের দেয়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ধরণের লোভ-লালসার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু প্রিয় নেতা দেয়া দায়িত্বকে নিজের স্বার্থের কাছে জলাঞ্জলি দিইনি। তিনি বলেন, শত বাঁধা বিপক্তি এবং দলের কতিপয় নেতাদের বিরোধীতা থাকলেও আমি বিএনপির আর্দশ থেকে একটুকু বিচ্যুতি হয়নি। যেই কারনে নীতিতে অটল ছিলাম বলেই কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই চকরিয়া পৌরসভার মেয়র পদে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আলহাজ নুরুল ইসলাম হায়দার যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। শহীদুল ইসলাম ফোরকান বলেন, এবারের চকরিয়া পৌরসভা যুবদলের সম্মেলনে আমি সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেছেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে কমিটি ঘোষনা করা হবে। আমি নিজের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে প্রিয়নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছি। তিনি কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেটি সিদ্বান্ত দেন তা সাদরে মাথা পেতে নেব।

পাঠকের মতামত: