ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় কোটি টাকা মুল্যের রহস্যজনক ড্রেজার আটক ঃ আসল মালিক কে ?

HHHমনির আহমদ॥

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের নাসিঘাট এলাকায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল ভর্তি কোটি টাকা মুল্যের একটি ড্রেজার ও ২টি ইঞ্জিনবোট এর মালিকানা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি এর মালিকানা দাবী করায় চলছে নানা গুঞ্জন। মালিকানা জটিলতার বিরোধ মেঠাতে কোনাখালীর চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম মালভর্তি ড্রেজার ও বোট ২টি জব্দ করে স্থানীয় পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে। রহস্যঘেরা ড্রেজার দেখতে গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।

কক্সবাজারের বদরমোকাম এলাকার তৈল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন দাবীদার দের মধ্যে একজন। তিনি একটি চুক্তিপত্র দেখিয়ে জানান, ড্রেজার ও বোটসহ মালামাল গুলোর মালিক চট্টগ্রাম জেলার সিকলবাহা মাষ্টার হাট এলাকার বাসিন্দা হাজী নওশেদ আলী কোম্পানি। তিনি (জসিম উদ্দিন), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর জেএম ঘাট এলাকার লোকমান ও অপর একজন বিগত ১৬মার্চ ২০১৬ইংরেজেী মাসিক চুক্তিতে ভাড়ায় আনেন। তারপর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ এলাকায় বালিকাটার কাজ করার চুক্তি করেন। এরই মধ্যে প্রায় ২মাস আগে পার্টনার লোকমান মারাগেলে ড্রেজার ও বোট নিখোজ হয়।পরে খোঁজ পেয়ে বদরখালী থেকে উদ্ধার করে মালামালগুলো এখানে নিয়ে আসা হয়।

অপরদিকে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর জেএমঘাট এলাকায় সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত লোকমানের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, তার স্বামী লোকমান ব্যবসার উদ্যেশ্যে গত ১৩ মার্চ মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে চট্টগ্রাম সিকলবাহা এলাকার হাজি নওশেদ আলীর কাছ থেকে ২টি আনলোড ড্রেজার, ১টি লোড ড্রেজার ও একটি বালী বহনকারী বোট ভাড়ায় আনেন।এরপর তারা মাতারবাড়ীর নির্মানাধীন কয়লা বিদ্যুতে কাজ করছিলেন। এখানে তেল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেন কক্সবাজারের জসিম নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে। এমতাবস্থায় ব্যবসায় লাভ দেখে জসিম উদ্দিন একদল ভাড়াটিয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে গত ১০জুলাই লোকমানকে খুন করে। লোকমান মারা যাবারপর জসিম উদ্দিন গং ব্যবসার মালামাল সরিয়ে ফেলে হত্যাকারীরা। দীর্ঘ খোঁজাখোঁজীর পর সম্প্রতি বদরখালীর নিকটে নদী থেকে প্রায় ডুবন্ত অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে। এ খবর পেয়ে উল্টো জোরপূর্বক মালামাল সহ ১টিড্রেজার ও বোট ছিনতাই করার চেষ্টায় এখানে নাসিরগোড়ায় নিয়ে এসেছে করছেন জসিম উদ্দিন গং।ওই মহিলা ইতিমধ্যেই ড্রেজার থেকে ১০লক্ষ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।

এব্যপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একাধিক ব্যক্তি ড্রেজার ও বোটের মালিকানার দাবী নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। মালিকানা জটিলতার বিরোধ মেঠাতে তিনি মালভর্তি ড্রেজার ও বোট ২টি জব্দ করে সিজার লিষ্ট করে স্থানীয় পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান দিদার আরো বলেন ড্রেজার ও বোটটির আসল মালিক চট্টগ্রাম সিকলবাহা এলাকার হাজি নওশেদ আলী বলে জানা গেছে। তিনি ঘটনাস্থলে আসলে সঠিক তথ্য ইৎঘাটিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মনির আহমদ

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

পাঠকের মতামত: