ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ফোনে মাদ্রাসা ছাত্রীর বিয়ে, অতঃপর…

Zকুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :::
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইলে ফোনে প্রবাসী যুবকের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তিন লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে ফের অন্যত্র মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফিরে পেতে প্রবাসীর ভাই মেয়ের পিতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী বেলাল হোসেনের সাথে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের(১৮)। সে পার্শ্ববর্তী চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা গ্রামের আবু তাহের ভূঁইয়ার বড় মেয়ে। ওই সময় সিদ্ধান্ত ছিল- ‘প্রবাসী বেলাল দেশে আসলে সামাজিকভাবে সুমাইয়াকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসবে’। বিয়ের সময় সুমাইয়াকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, বিভিন্ন সময়ে তিন লাখ টাকা ও একটি মোবাইল সেট দেওয়া হয়। কিন্তু বেলাল দেশে আসার আগেই সুমাইয়ার পিতা আবু তাহের ভূঁইয়া লাভজনক প্রস্তাবে মেয়েকে পার্শ্ববর্তী সাঙ্গিশ্বর গ্রামের প্রবাসী বদিউর আলমের ছেলে ও সুমাইয়ার সহপাঠি মেহেরাজের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। এমন খবর পেয়ে বেলালের ভাই নজির আহমদ তাহেরের নিকট স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এতে নজির আহমদের পরিবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নজির আহমদ বাদি হয়ে সুমাইয়ার পিতা আবু তাহের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে আবু তাহের ভূঁইয়া মেয়েকে অন্যত্র বিয়ের দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ”পারিবারিকভাবে আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মেহেরাজ জোরপূর্বক সুমাইয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দিয়েছি।”

তবে স্থানীয় অনেকে জানান, প্রবাসী স্বামীর দেওয়া মোবাইল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়া সহপাঠি মেহেরাজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই প্রেক্ষিতে মেহেরাজের সাথে সুমাইয়া পালিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত: