ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

লামায় জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সভায় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর

দদদমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::::
বান্দরবানের লামা উপজেলায় জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশ এবং আইন শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা ২৭ আগষ্ট শনিবার বিকাল ৫টায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি।

জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, লামা-আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. সারোয়ার হোসেন, ৫৭ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মো. হুসাইন রেজা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইসমাইল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী সহ প্রমূখ।

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইসমাইল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, ৫৭ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল মো. হুসাইন রেজা, লামা-আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. সারোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়,

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বলেন, দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, হত্যা, নাশকতা সৃষ্টিকারী ও এদের মদদ দাতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা, বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষকে হত্যা করে তারা দেশ ও জাতির শক্র।

আরো বলেন, এ পর্যন্ত সংঘটিত জঙ্গী হামলার পেছনে জেএমবি, হরকত-উল জিহাদ, হিযবুত তাহরীরসহ দেশীয় জঙ্গী সংগঠনগুলোই প্রধানত দায়ী। তাদের পেছনে জামায়াত-বিএনপি-শিবিরসহ ধর্মীয় দল গুলোর সমর্থন ও ইন্ধন থাকাও বিচিত্র নয়। এটা তো দিবালোকের মতো সত্য যে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধীদের বিচার ও মৃত্যুদন্ড কার্যকরকে উপলক্ষ্য করে দেশে জঙ্গী হামলা ও হত্যাকান্ড বেড়েছে। আমরা সবাই যদি আমাদের পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখি তাহলে সারা দেশ জঙ্গী মুক্ত রাখা সম্ভব।

উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে লামা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩শত গর্ভবতী ও দুগ্ধ মাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের “কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল” কর্মসূচীর আওতায় মাথাপিছু ৬হাজার টাকা করে সহায়তা অনুদান দেয়া হয়। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ থেকে দুস্থ, অসহায়, হতদরিদ্র ৪৮ জনকে ১বান ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া গত ১৫ জুলাই ২০১৬ইং শুক্রবার লামা উপজেলার কেয়াজুপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী খোকন নাথ এর পরিবারকে জেলা প্রশাসক এর সহায়তা তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

পাঠকের মতামত: