ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঘটনা নেই, তবু জাল জখমী সার্টিফিকেট দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা!

index copyএম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের কালা গাজী সিকদার গ্রামের মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার জাল জখমী সার্টিফিকেট ব্যবহার করে আদালতে যৌতুকের মামলা করেছে তার স্ত্রী জন্নাতুল নাঈম। নাঈমের বাপের বাড়ি রামু উপজেলায়। বিয়ে হলেও কৌশলে নাঈম জড়িয়ে পড়ে ফুফাত ভাইয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে। এতে বাঁধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো স্বামীর বিরুদ্বে হয়রানীমুলক মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মিজান।

ঘটনায় আহত না হলেও জন্নাতুল নাঈম জখমী সেজে আদালতে দাখিল করা জখমী সনদের বিরুদ্ধে আপীল করেন স্বামী। এতে স্ত্রীর দেয়া সনদটি জাল প্রমাণিত হয় বলে দাবি করেন স্বামী। এ ঘটনায় আইনজীবি ও বাদি-বিবাদি পক্ষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার আর্জি সুত্রে জানা গেছে, রামু উপজেলার রাজারকুলের বৈদ্যেরখীল ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন রামকোট র্তীথধাম গেইট এলাকার নুর মোহাম্মদ সিকদারের মেয়ে জন্নাতুল নাঈম গত ৯ মে রামু থানায় স্বামী মিজানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যতিন দমন আইনে মামলা (মামলা নং-১৭/১৬) একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে। যার নম্বর ফৌজদারী মিস মামলা নং ৯১৯/১৬।

মামলার বাদি স্বামী মিজানুর রহমান জানান, ২০১০ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক রামু উপজেলার রাজারকুলের বৈদ্যেরখীল ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন রামকোট র্তীথধাম গেইটের সামনে নুর মোহাম্মদ সিকদারের কন্যা জন্নাতুল নাঈমের সাথে বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রামুতে বাদীর বাড়ীতে অবস্থান করে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এ সুবাদে তিনি শাশুড় বাড়ির পরিবারের সকল সদস্যর দেখভাল আমি করি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ব্যবসা বাণিজ্যের কারনে তার অনুপস্থিতির সুযোগে স্ত্রী জন্নাতুল তার ফুফাত ভাইয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে অনেকবার বাঁধাও দিই। কিন্তু স্ত্রী জন্নাতুল উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।

মিজানুর রহমানের দাবি, তার সরলতার সুযোগে স্ত্রী ও শ^শুর বাড়ীর লোকজন  কৌশলে তার টাকা আত্মসাত করার লোভে ও ফুফাতো ভাইয়ের পরকিয়া প্রেমকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে  উল্টো জাল সার্টিফিকেট দিয়ে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলাটি দায়ের করেছে।

পাঠকের মতামত: