ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় দু’শ একর জমিতে ফসল উৎপাদন বন্ধ

pekua-dc-newপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা লম্বাঘোনা বিলে ফসল উৎপাদন হচ্ছেনা প্রায় দু’শ একর জমিতে। লোনা পানি ওই বিলকে গ্রাস করেছে। ফলে লম্বাঘোনা বিলসহ পুর্ব উজানটিয়া সুতাচুরা এলাকায় আরো বিপুল জমিতে হ্রাস পেয়েছে কৃষি উৎপাদন। কিছু অসাধু ব্যক্তি স্লুইচ গেইট দিয়ে নদীর লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় কৃষি উৎপাদন থমকে গেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবর ৬৫জন কৃষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সুত্র জানিয়েছেন সুতাচুরা লম্বাঘোনা বিলে মৎস্য উৎপাদনের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল বদ্ধ জলশায় পরিনত করেছে। ওই বিলের জমিগুলো ফসল উৎপাদনের উপযুগি ছিল। বিগত কয়েক বছর আগে কৃষকরা ফসলি জমি থেকে ধান উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটাতেন। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে ওই বিলটি চাষাবাদের অনুপযোগি হয়। লবন পানি ঢুকিয়ে ফসলি জমিতে উৎপাদিন করা হচ্ছে মাছ। বছরে দু’মেয়াদে চাষিরা ওই জমিতে মৎস্য চাষ করেন। ফলে হ্রাস পেয়েছে কৃষি উৎপাদন। মাছ চাষের জন্য সুতাচুরা এলাকার ৫-৭জনের একটি প্রভাবশালী মহল বিলে লবন পানি প্রবেশ করে। এতে করে সুতাচুরাসহ বিপুল অংশ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। লোনা পানির কারনে ওই এলাকার জীবন যাত্রা মারাত্বক ব্যাহত হয়েছে। গুটি কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারনে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে ডুবে রয়েছে। মিঠা পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গাছপালা ও সবুজের সমারহ বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম, শামসুল আলম, আব্দুল কুদ্দুস, হাজ্বি শাহাব উদ্দিন জানান ৫-৭জন মিলে শতশত মানুষ লোনা পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে। বর্ষার শুরু থেকে রাস্তাঘাট পানির নিচে আছে। তারা অহরহ স্থানে পলবোট বসিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকাচ্ছে এলাকায়। তাদের কারনে প্রায় দু’শ একর জমির কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ রয়েছে। আর যেসব জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে এসবও পানির তোড়ে তলিয়ে গেছে। উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন পানি নিস্কাশনের জন্য স্লুইচ গেইট আছে। তবে কিছু মানুষ স্লুইচ গেইট চলাচল খালে বাধ দিয়ে মৎস্য উৎপাদন করছে। তাদের কারনে মুলত এ দুর্ভোগ। আমি কিছুদিন আগে চলাচল খালের বাধ অপসারন করতে তাদেরকে বলেছি। এর পরেও যারা অপসারন করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই।

পাঠকের মতামত: