ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় নিহত চিংড়ি ব্যবসায়ীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন, ময়না তদন্তের নির্দেশ

imagesচকরিয়া অফিস:

চকরিয়া উপজেলার বদলখালী ইউনিয়নে নিহত চিংড়ি ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা হলেও ইতোমধ্যে নারীসহ দুইজনকে আটকের পর ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসির মাঝে ব্যবসায়ী রফিকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনো রহস্য রয়েছে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে আবেদন করার প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলন পুবর্ক ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, নিজের পরিচালনাধীন চিংড়ি ঘেরের খামার ঘর থেকে লাশ উদ্ধারের পর গত ১৮ আগস্ট সকালে পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ময়না তদন্ত ছাড়াই রফিকের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে। লাশ উদ্ধারের সময় ও দাফনের পরে পরিবারের কোন ধরণের অভিযোগ না থাকলেও ওইদিন রাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে গুজব নিয়ে নিরীহ লোকজনকে মারধর ও বদরখালী বাজারে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নৌ-পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এব্যাপারে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করা হয় থানায়। ১৭ আগস্ট রাত ৩টার দিকেবদরখালী ৩নং ব্লকের চিংড়ি ঘেরের খামার গৃহে মারা যান রফিক উদ্দিন। রাত সাড়ে ৪টার দিকে তার ভাই মাষ্টার ওয়াইজ উদ্দিনসহ আত্মীয় স্বজন মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া জমজম হাসপাতাল ও পরে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ১৮ আগস্ট রফিকের মৃতদেহ স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।

অভিযোগ উঠেঠে, বদরখালী ইউনিয়নের মোস্তাক আহমদ নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধনে ৩০-৪০ জন দৃর্বৃত্তরা প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ঘুরিয়ে আবদুল আজিজ ও আজবাহার বেগমকে বেদম নির্যাতন চালিয়ে রফিকের বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় আবদুল আজিজের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়েও নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রানু আক্তার।

খবর পেয়ে বদরখালী নৌ-পুলিশ টীম তাদের উদ্ধার করে। পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকেও তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ ও গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নৌ-পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এঘটনায় চকরিয়া থানার এসআই বাদী মাহাবুর রহমান বাদি হয়ে ৪’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়ও রফিককে দাফনের পর ৩দিন পর তার ভাই মাষ্টার ওয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আবদুল আজিজকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে আহত আবদুল আজিজ কারাগারে রয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, রফিক উদ্দিনের মুত্যুর ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে লাশ উত্তোলনপুর্বক ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে উত্তোলন পুবর্ক ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। #

পাঠকের মতামত: