ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপকরণের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

attosatচকরিয়া অফিস :

চকরিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদায় (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেয়া টাকা উপকরণ না দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত দুই অর্থবছরে এসব বরাদ্দের এক লাখ টাকার মধ্যে কোন শিক্ষা উপরকরণ পায়নি শিক্ষার্থীরা।

সূত্র জানায়, সরকার প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদায় (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীদের সহায়ক উপকরণ কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে আসছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে চকরিয়া উপজেলায় গত দুই অর্থ বছরে ওই খাতে বরাদ্দ দেয়া ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকার মধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন সহায়ক উপকরণ দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়ক উপকরণ দেয়ার নামে দুই বছরে বরাদ্দের পুরো টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খোরশেদ আলম চৌধুরী উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে। তিনি প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেছে দেখিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়; উপজেলার কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহায়ক উপকরণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরীর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে কোন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর তালিকা ও চাহিদা পত্র শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে সহায়ক উপকরণ বিতরন করা হয়েছে দেখিয়ে টাকা গুলো উত্তোলন করে রেখেছি। তিনি আরও বলেন; কিছুদিন আগে ওই টাকা থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে প্রায় ২০ হাজার টাকার চশমা দেয়া হয়েছে। বাকী টাকাগুলো সরকারী হিসাবে আছে; যখনই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চাহিদা পাবো তখনই উপকরণ কিনে দেবো। বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি’র চকরিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কাজী মাকছুদুল আলম মুহিতের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তারা এ উপজেলায় চকরিয়া পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। চকরিয়া উপজেলায় ২০১৩ সালে আমাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলায় আমরা পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নে কাজ করছি। ওই ৩টি ইউনিয়নে ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯২ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছে। তাদের তালিকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনেক আগেই দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাহেদুল ইসলাম জানান; এখানে দূর্নীতির কোন প্রশ্নই আসেনা। টাকা উত্তোলন করে নেয়া হলেও আমার জানা মতে ওই টাকা আছে। চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিবন্ধী শিক্ষাথীদের সাহায়ক উপকরণের টাকা আত্মসাত করার মতো লোক নয় বলে তিনি দাবী করেছেন।

পাঠকের মতামত: