ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় যুবলীগ নেতা বক্কর হত্যা মামলার আসামিদের হুমকিতে চরম আতঙ্কে পরিবার

bokkor hottaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা আবু বক্কর হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে ফের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের পরিবার ও মামলার বাদি নিহতের বাবা। এ ঘটনায় গত ২২আগষ্ট নিহতের ভাই আবুল কালামের স্ত্রী কমরু বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় হুমকি দেয়ার অভিযোগে ৫জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেছেন। হুমকিদাতা হিসেবে জিডিতে আসামি করা হয়েছে ইউনিয়নের নতুন মেম্বার মনোহর আলম সিকদারের ছেলে জাহেদুল ইসলাম, মোক্তার আহমদের ছেলে নুরন্নবী পুতিয়া, মনজুর আলমের ছেলে আবদুল মজিদ, আবদুর রহিমের ছেলে আবদুল গনী ও আবদুল ছালামের ছেলে সমশুল আলমকে।

মামলার আর্জি সুত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের জমিদারপাড়া গ্রামের নজির আহমদের ছেলে যুবলীগ নেতা আবু বক্করকে কুপিয়ে হত্যা করে চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী সুনিয়া আক্তার জেমি বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-৬৭) দায়ের করা হয়। ওই মামলার পর অভিযুক্ত বেশ ক’জন আসামি মামলা থেকে বাদ গেলে নিহতের বাবা নজির আহমদ বাদি হয়ে উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নতুন করে একটি সম্পুরক মামলা দায়ের করেন।

নিহতের বাবা নজির আহমদ জানান, ইতোমধ্যে দুই দফা তদন্ত করে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জসিট) আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সর্বশেষ চলতিবছরের ১৪ জুলাই তাারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সিআইডি পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান আদালতে চার্জসিট দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নতুন চার্জসিটে আসামি জাহেদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জসিট দাখিল করার পর থেকে অভিযুক্ত আসামিরা তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে গত ২১ আগষ্ট রাতে তার বাড়ির পাশে এসে অভিযুক্ত আসামিরা (জিডিতে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে) ঘুরাঘুরি করে প্রকাশ্যে নানাভাবে হুমকি প্রর্দশন করেন। এতে পরিবার সদস্যরা ফের নিরাপত্তাহীনতায় আশঙ্কায় থাকায় পরদিন ২২ আগষ্ট পরিবারের পক্ষে নিহত যুবলীগ নেতার ভাই আবুল কালামের স্ত্রী কমরু বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় জিডি আকারে অভিযোগটি দায়ের করেছেন।

নিহতের বাবা নজির আহমদ দাবি করেন, তার ছেলে নিহত হওয়ার পর স্ত্রী সুনিয়া আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করলেও ঘটনায় জড়িত অনেক আসামি বাদ পড়ে যায়। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম। পরে তিনি সম্পুরক মামলায় জাহেদকে আসামি করার ফলে এখন তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নিহত যুবলীগ নেতা আবু বক্করের স্ত্রী সুনিয়া আক্তারের দহরম মহরম ভুমিকার কারনে জাহেদসহ জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা এলাকায় বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিহতের বাবা নজির আহমদ তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: