ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় হারবাংয়ে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে কিশোরকে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন

ওওএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচনে ৯নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল। অভিযোগ উঠেছে, মেম্বার হিসেবে শপথ নেয়ার আগে ওয়ার্ডে বিচার আচারে জনগনের কাছে রীতিমত মুর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন মেম্বার ইসমাইল। কথায় কথায় বিচারপ্রার্থী লোকজনকে তিনি শাররীকভাবে মারধর করছেন। সুযোগ বুঝে দুর্বল পরিবারের জায়গা জমি দখলে নেয়ার মহড়া দিচ্ছেন। এসব কারনে অল্প সময়ের মধ্যে তার অত্যাচার ও নির্যাতনের কারনে এলাকার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ শনিবার রাতে ইউপি মেম্বার ইসমাইল নতুন করে আরো একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। আজিজনগরে তার মোবাইলের দোকানে চাকুরী করতেন উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আছাব উদ্দিনের ছেলে কিশোর সাহেদ (১৫)। প্রায় চার বছর চাকুরী করার পর বেতন বকেয়া রাখার কারনে কিশোর সাহেদ মেম্বার ইসমাইলের দোকান থেকে চাকুরী ছেঁড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে ক্ষিপ্ত হন মেম্বার ইসমাইল।

কিশোর সাহেদের পরিবার অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে সাহেদকে দোকানে ঢেকে নিয়ে মেম্বার ইসমাইল দোকানের পেছনে ঘরে আটকে রেখে লোহাড় শিখ দিয়ে রাতভর মারধর করেন। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাবাসি ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক মেম্বারের জিম্মিদশা থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। পরে তাকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত কিশোর সাহেদের স্বজনরা জানান, ঘটনাটির ব্যাপারে রোববার সকালে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলামকে জানানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান এব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনা।

বিষয়টি প্রসঙ্গে অবহিত করা হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এভাবে কিশোরকে মারধর করার ঘটনাটি অবশ্যই দন্ডনীয় অপরাধ। ঘটনা সত্যতা থাকলে আক্রান্ত পরিবার থানায় অভিযোগ করুক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই মেম্বারকে গ্রেফতার করা হবে।

পাঠকের মতামত: