ঢাকা,শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে পুলিশী বাধা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

012নিজস্ব প্রতিবেদক :::::::

কক্সবাজারের গর্বের ধন, এই কক্সবাজারের জন্য যা কিছু করতে পারার যিনিই একমাত্র যোগ্যতা রাখেন, সেই সালাহউদ্দিন আহমদ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম ‘স্থায়ী কমিটি’র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আনন্দে কক্সবাজার জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন যখন আনন্দে আনন্দিত তখন জেলা ছাত্রদল সেই আনন্দে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। তারা শুধু আনন্দ মিছিলই করেনি, একই সাথে পুলিশী বাধা আর মুষলধারার বৃষ্টিও উপেক্ষা করে রাজপথ কাঁপিয়েছে।

ঝুমঝুম বৃষ্টিতে ভিজে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদের এই অগ্রযাত্রায় (স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে উন্নতি) আনন্দ তো করেছেই, সাথে এই পদায়নের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির কান্ডারি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি চারদিনের সফরে কক্সবাজার অবস্থান করায় পুলিশ বিকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল। তারা কোন ভাবেই ছাত্রদলকে আনন্দ মিছিল করতে দেবে না। কিন্তু ছাত্রদলও যেন নাছোড়বান্দা। তারা মিছিল করবেই। এক সময় পুলিশী বাধা পেরিয়ে ঝুমঝুম বৃষ্টিতে আনন্দ মিছিল শুরু করে ছাত্রদল।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই মিছিলটি জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ে ফিরে আসে।

আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আনন্দ সমাবেশে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েছেন তা যেমন কক্সবাজারবাসির আনন্দের, তেমনি কক্সবাজারের সন্তান হিসেবে সেটি সবার জন্য গর্বেরও।’

তিনি বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমদই জানেন কিভাবে এই জেলার উন্নয়ন করতে হয়। তিনিই পারেন কিভাবে উন্নয়নের চাবিকাঠি কক্সবাজারের দিকে ঘুরিয়ে আনতে হয়। তিনি নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বিএনপিকে দিয়েছেন যোগ্যতর আন্দোলনের নেতৃত্ব। এখন তাঁর সেই যোগ্যতা জাতীয় ভাবে আরেকবার স্বীকৃত হলো। নিজের যোগ্যতা বলেই তিনি আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে উঠে এসেছেন।’

তিনি সালাহউদ্দিন আহমদের দীর্ঘায়ূ কামনা করে আশা প্রকাশ করেন, ‘বিএনপি ও দেশবাসির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদকে আজ ভারতের শিলং শহরে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হচ্ছে। আমরা আশা করছি, তিনি অচিরেই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। শুধু কক্সবাজার নয়, দেশের অগ্রযাত্রা আর গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে আবারও নিজেকে আত্মনিবেদন করবেন।’

একই সাথে জেলা ছাত্রদল কক্সবাজার বিএনপির কান্ডারি ও সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলকে বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমদকে নির্বাহী সদস্য করায় বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

এই আনন্দ মিছিলে অন্যদের সাথে আরও ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন, য্গ্মু সম্পাদক আলাউদ্দিন রবিন, জাহিদুল ইসলাম রিটন, শহর ছাত্রদলের আহবায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসেন রিপন, ফাহিমুর রহমান, কানন বড়–য়া, আশরাফ ইমরান, আবদুল্লাহ আল মামুন রিয়াদ, আল আমিন ও আহমদ ছফা, কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক সাইফুর রহমান নয়ন, যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, ক্যাম্পাস সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, ক্যাম্পাস সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান সাগর, কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাইনুদ্দিন জনি, যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা, কক্সবাজার আইন কলেজ সাধারণ সম্পাদক করিমতাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজউদ্দৌলাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নিয়াজ উদ্দিন রানা, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ প্রমূখ।

সিনিয়র ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মুরাদ, ইসমাইল হোসেন আবু, রাশেদুল হক রাশেদ, শাহীনুল কাদের লিমন, ফারুক আজম, শাহ মোশাররফ হোসেন, কাজী মহিউদ্দিন মোহাম্মদ তারেক, এএইচএম রায়হান উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, নিয়াজ মোর্শেদ লিটন, মিজানুল আলম, আরাফাত সাইফুল আদর, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সাইদু সিকদার, মোসলেম উদ্দিন, সাঈফ রিয়াজ, একরামুল হক, ইনজামামুল হক, মোঃ রিজভী খান, আসিফুল হাসান সিফাত, জাফর আলম, রহিম উল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন সাগর, মো. রুস্তম, আলমগীর সালাম পুলক, নুরুল আলম নাঈম, মিজান্ উদ্দিন, রাসেল সরওয়ার, মো. ফয়সাল, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. সাইফুল্লাহ, হারুনুর রশিদ প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: