ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার শহরের ডিওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান

mail.google.comশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার :::

কক্সবাজার শহরের বৈল্লারপাড়া এলাকায় ডিওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। যেকোন সময় ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। স্কুল ধসে পড়ার ভয়ে অনেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজার। প্রতিবছর ভুমিকম্পের কবলে পড়েন কক্সবাজারবাসি। মানুষের তেমন ক্ষতি না হলেও পাকা বাড়ি ও বিভিন্ন ভবনগুলোতে দেখা দেয় ফাটল। মাটি ও গাছপালা আলগে উঠে। এতে করে অনেকদিনের পুরাতন বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দেয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান গত ৪ মে ওই স্কুল পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এছাড়া প্রাধমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিত গিয়াস উদ্দিন গত ২০ জুন এই বিদ্যালয়ের ঝুঁকির্পূণ ভবন পরির্দশন করেন।

এ এখনো পর্যন্ত ভবন নির্মানে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এ ঝুকিতে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহল সকলে দুশ্চিন্তায়। ভবন ধসে কখন শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০০১ সালে একতলা বিশিষ্ট স্কুলনির্মিত হলেও ভবনের ধারন ক্ষমতা কমে যায়। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭’শ জন। ছাদর উপর খড়ের তৈরি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুলে অফিসসহ কক্ষ রয়েছে ৮টি। এ ভবনে আর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সম্ভব নয়। নতুন ভবন দ্রুত নির্মাণ করা না হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনদিন কমে আসবে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের প্রয়োজলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান জানান নতুন ভবন নির্মান এর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা হবে বলে আমি আশাবাদি।

প্রধান শিক্ষিকা তৃষনা বড়–য়া জানান, সব সময় ভয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের নিয়ে পাঠদান করছি। কখন ভবন ধ্বসে পড়বে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। খুবই কষ্ট করে ঝুকিপূর্ণ কাচা ঘরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। কতদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষই ভাল জানেন।

এ বিষয়ে এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন ভবন তৈরি করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার একটি চিঠি দিয়েছে। আমরা এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অবহিত করেছি। নতুন ভবন নির্মানের চাহিদা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্রপ্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: