ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লামায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অভিযোগ

ovijog_1মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::::
বান্দরবানের লামায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অনিয়মের অভিযোগ করেছে ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে শিক্ষকদের নানান অনৈতিক কাজের বাধা সহ সুযোগ না দেয়ায় এই অভিযোগটি এক পক্ষের সৃষ্টি বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নামে মোটা অংকের টাকা ঘুষ চাওয়া, এমপিও/টাইম স্কেলের কার্যক্রমে চাহিদা মত টাকা না দিলে হয়রানি, সেকায়েপ কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নিয়েও অনিয়ম করছেন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। অভিযোগকারী শিক্ষকরা হল, লামা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এম ইমতিয়াজ, লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয়ের আবদুর শুক্কুর, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশ্বনাথ দে, ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের মুফিজ উদ্দিন, চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয়ের আবদুস সাত্তার, হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. আবদুল কাদের, ফাইতং উচচ বিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন ও হারগাজা নিম্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. রুহুল আমিন।

অভিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকদের অভিযোগটি মিথ্যা। গত ২৬ জুলাই বেলা ১১টায় স্কুল চলাকালীন সময়ে উপজেলা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির লামা শাখার কার্যকরী কমিটি লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সভা আহবান করে। স্কুল খোলার সময়ে শিক্ষক সভা পাঠদানে সমস্যা হতে পারে বলে সরকারী বিধি পরিপন্থী হওয়ায় সভা বন্ধে অফিস আদেশ দেয়া, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকায়েপ কর্তৃক প্রদত্ত প্রকল্পে অনিয়ম বিষয়ে কথা বলা, কোন প্রকার কাগজপত্র না থাকায় শুধু জিডির ভিত্তিতে একজন শিক্ষকের এমপিওর সুপারিশ না করা, শিক্ষকরা মাল্টিমিডিয়া ও নিরাময় ক্লাস না করা বিষয়ে বলা, প্রধান শিক্ষকদের অনলাইন অদক্ষতা ও প্রশ্নপত্র নিজেরা না করে অন্যত্র থেকে ক্রয় বিষয়ে বলায় শিক্ষক সিন্ডিকেট আমাকে হয়রানি করতে এই অভিযোগটি সৃষ্টি করেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সেকায়েপ প্রকল্প সহ শিক্ষকদের সকল অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৯ শিক্ষকের লিখিত অভিযোগটি ২জুলাই মঙ্গলবার আমি পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকে শুনানি করে শিক্ষকদের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে।

পাঠকের মতামত: