ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ফলোআপ : গোপন বৈঠক থেকে নগদ অর্থসহ সরে যান মৌলভী আশরাফ

Follow-Up-of-Teknaf-4_1ক্রাইম রিপোর্টার :::

টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ১নং ওয়ার্ডে মৌলভী সৈয়দ করিমের বাড়ি অভিযান চালিয়ে এক বিদেশি সহ ৪ বাংলাদেশি আটকের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এলাকাবাসী। অভিযান চলাকালে গোপন ওই বৈঠক থেকে নগদ অর্থসহ দ্রুত সরে যান মানবপাচাকারী মৌলভী আশরাফ।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রফিক, বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ, মাওলানা আবদুল জাব্বার, মানবপাচারকারী মৌলভী আশরাফ, মাওলানা ইব্রাহিম, সৌদি নাগরিক আবু সালেহ আল গাদ্দানি ও সালাহুল ইসলাম যৌথভাবে বৈঠকে বসেন।

বাহারছড়ার শামলাপুরে অবস্থিত অবৈধ রোহিঙ্গা বস্তিতে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা, বিদেশি থেকে পাঠানো অর্থ জমার জন্য আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে ব্যাপক আলোচনা হয়।

ঠিক ওই সময় আকস্মিকভাবে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য অভিযান চালায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে যান শামলাপুরের বহুল আলোচিত মানবপাচারকারী মৌলভী আশরাফ, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ’র ভাইস চেয়ারম্যান রফিক ও বাহারছড়ার চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ। পরে অন্যদের আটক করে নিয়ে যান আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মৌলভী আশরাফের কাছেই ছিল নগদ অর্থের বান্ডেল। অথচ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি সরে যান।

স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করতে যারা দেশ বিরোধী কাজ করছেন, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ’র ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ভাই মৌলভী আজিজ দীর্ঘদিন ধরে বাহারছড়ার রোহিঙ্গাদের মাঝে বিদেশি অনুদান দিয়ে আসছেন। রোহিঙ্গারাই তাদের প্রধান ব্যবসার পুঁজি। বিদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নামে অনুদানের টাকা এনে শতকরা এক ভাগ বিলি করেন। বাকি তিন ভাগ পকটস্থ করেন। তাদের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য পেয়ে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা আসার সুযোগ সৃষ্টি করছে তারা।

এদিকে বৈঠক থেকে টাকা নিয়ে সটকে মৌলভী আশরাফকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কারণ তিনি একজন চিহ্নিত মানবপাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। এই দুই অভিযোগে সম্প্রতি তাকে টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়।

পাঠকের মতামত: