ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া-মগনামা সড়কে লবণ ও পণ্যবাহি ভারী যানবাহন চলাচল, সড়কজুড়ে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে

্রএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া মগনামা সড়কে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে অধিক ওজনের ভারী যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। সড়কে ১৫টন ওজনের যানবাহন চলাচলে ধারণ ক্ষমতা থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের লোকজন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সড়ক দিয়ে দিব্যি ৪০ থেকে ৫০টন অধিক ওজনের ভারী লবণ ও পন্যবাহি ট্রাক চলাচল অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থার কারনে বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় ধরণের ফাটলের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হওয়ার পাশাপাশি বেড়ে চলছে জনদুর্ভোগ। এ অবস্থার উত্তোরণের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণ ও সচেতন মহল প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, চকরিয়া-পেকুয়া মগনামা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার হাজার হাজার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ যানবাহন চলাচলের কারনে এমনিতে প্রতিবছর সড়কের বেশির অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রতিবছর সড়ক বিভাগ জনগুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি মেরামত করে জনসাধারণের চলাচল উপযোগী করে তুলেন। একই ভাবে গত অর্থবছর কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে উন্নয়ন কাজ করেছে।

অভিযোগ উঠেছে, সড়কটি দিয়ে ১৫টন ওজনের ধারণ ক্ষমতার পরিবহন চলাচলের নিয়ম থাকলেও প্রশাসনের নিয়ম লঙ্গন করে গত কয়েকমাস ধরে পেকুয়া উপজেলার প্রভাবশালী চক্রের লোকজন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টন ওজনের লবণ বোঝাই ও পন্যবাহি (পাথর বোঝাই) ট্রাক করছে সড়কে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী চক্রের লোকজন দিব্যি ভারী ওজনের গাড়ি গুলো চলাচল করাচ্ছে। এ অবস্থার কারনে সদ্য সমাপ্ত করা উন্নয়ন কাজের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি লবণ পানি পড়ে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক স্থানে সড়কে ফাটলের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগের লোকজন লবণ বোঝাই ও ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করলেও অভিযুক্তরা তা মানছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া উপ-বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া মগনামা সড়কে নিয়ম রয়েছে ১৫টন ধারণ ক্ষমতার যানবাহন চলাচলে। কিন্তু কয়েকমাস ধরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ৪০ থেকে ৫০টন ওজনের লবণ ও পাথর বোঝাই ট্রাক চলাচল করাচ্ছে সড়কটিতে। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে এব্যাপারে বাঁধা দেওয়া হলেও তাঁরা এতে কোন ধরণের কর্ণপাত করছেনা। তিনি বলেন, বিষয়টি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনিও ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করেছেন। তারপরও অভিযুক্তরা প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা করে চলছেন।

স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, চকরিয়া-মগনামা সড়কে সারাবছরই তাদের সংগঠনের যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহন ধারণ ক্ষমতার ভেতরে রয়েছে। ফলে সড়কে তাদের যানবাহন চলাচলের কারনে তেমন ক্ষতি হয়না। তবে লবণ বোঝাই ও পাথরসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে সড়ক প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে সড়কটির অবস্থা আরো খারাপ হবে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। #

পাঠকের মতামত: