ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বরইতলীর বনভূমিতে বহুতল ভবন হচেছ, ইয়াবা-জোয়ার টাকা যোগাতে বিক্রি করছে মাদার ট্রি সহ বনভূমি

777মনির আহমদ॥
চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীন চকরিয়ার বরইতলী বনবিট সংলগ্ন মোহাম্মদ নগর ও চ্ট্গ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের দুইপার্শের বনভূমি দখলে নিয়ে মাদার ট্রি কেটে নির্মান হচ্ছে বহুতল ভবন । সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ ও রাব্বানী নাম পরিচয় দানকারী একজন বনরক্ষি মিলে প্রভাবশালী ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বন এবং ভূমি দুটোই বিক্রি করে দিচ্ছেন এমন দাবী বাড়ী নির্মাতাদের। ইয়াবা আসক্ত বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদের ইয়াবা টেবলেট ও জোয়া খেলার টাকা যোগাড় করতে সরকারী বনজ সম্পদকে যাচ্ছেতাই দরে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহলের। এতে অরক্ষিত হয়ে দখলদারের হাতে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীন চকরিয়ার বরইতলী বনবিট সংলগ্ন মোহাম্মদ নগর ও চ্ট্গ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের দুইপার্শের বনভূমি।
এলাকাবাসী জানায়, চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীন চকরিয়ার বরইতলী বনবিট সংলগ্ন মোহাম্মদ নগর ও চ্ট্গ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের দুইপার্শের বনভূমির বানিয়ারছড়া ষ্টেশন সংলগ্ন সরকারী বনবিট কার্যালয়ে সারদিন দরজা বন্ধ করে জোয়া খেলে ও ইয়াবা সেবন করে স্থানীয় বখাটের সাথে সময় কাটান বনবিট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অপর দিকে সরকারী দলের কর্মি পরিচয়দানকারী একদল প্রভাবশালী কে নিয়ে বনপ্রহরী রব্বানী ১৫ হাজার থেকে লক্ষ টাকায় প্লট আকারে সংরক্ষিত বনের মাদারট্রি গর্জন ও বনভূমি দখল দিচ্ছে। সরকারী কার্যালয়ে ইয়াবা সেবন করে নেশাগ্রস্থ হয়ে রুমের ভিতর জোয়ার আসর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে কানাঘুষা। সচেতন মহল প্রথম দিকে প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্ট বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ সিন্ডিকেট এর হুমকি-ধমকিতে চুপসে যায়।
সরেজমিনে দেখাযায়, বরইতলী বনবিটের বানিয়ার ছড়া ষ্টেশন সংলগ্ন বনবিট অফিসের পাহাড়ে
গত তিনমাসে নতুন পাকা-আধাপাকা অবৈধ শতাধিক নির্মান হচ্ছে। নির্মানাধীন এসব বাড়ীর মালিকরা জানান, প্রতিটি বাড়ী নির্মান বাবৎ বিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ ও বনরক্ষিদের ম্যানেজ করতে হয়েছে টাকার বিনিময়ে। অনেকে ঘর নির্মান করে আবার বিক্রি করছে ডাবল দামে। বনভুমির রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-বনকর্মি ও ভিলেজার নামধারী ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এদের সাথে জড়িত। যার কারনে দিনে দুপুরে জমি দখল বিকিকিনি এখানে ওপেন সিক্রেট। আগেকার দিনে পলিথিনের বেড়া দিয়ে কাজ করলে ও বর্তমানে বনবিভাগ ম্যানেজ থাকায় বাধা দেয়ার কেউ নেই। বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ এলাকার ৪/৫জন বখাটে কে সংগে নিয়ে তার রুমে ইয়াবা টেবলেট খেয়ে জোয়া খেলে।
এ ব্যাপারে বনবিট কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদের কার্যলয়ে তার সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করার পর বললেন তিনি সারারাত ডিউটি করেছেন তিনি অসুস্থ, সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে পারবেন না। এ সময় তার সামনে পড়ে রয়েছে নেশাদ্রব্য সেবনের যত আলামত।
এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন জানায়, বিটকর্মর্তা সারাদিন বাসার ভিতরে ইয়াবা টেবলেট খেয়ে ভূত হয়ে বাসার ভিতরে পড়ে থাকেন, অপরদিকে তার সহকারীরা ও ভিলেজারেরা মেপে মেপে করায় গন্ডায় হিসাব করে বনভূমির দখল বিক্রি করেন। ইয়াবার টাকা পেলেই বিট কর্মকর্তা মনজুর খুশি।এভাবে প্রতিদিন চলছে বন ও ভুমি বেচাকেনা বাণিজ্য। এলাকার সচেতন মহল জানান, বনাঞ্চল রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ জরুরী । অন্যথায় আগামী ২ বছর পর বনবিভাগের দখলে থাকবে না বনভূমি। ###

পাঠকের মতামত: