চকরিয়ায় চার বখাটের হাতে বলৎকারের শিকার হলেন বাবু চিং মার্মা নামের এক উপজাতি যুবক। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ভাঙ্গারমুখ ষ্টেশনে একটি ফার্ণিচারের দোকানের তালা ভেঙ্গে বখাটেরা ওই উপজাতি যুবককে বলৎকার করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এঘটনায় দোকানের মালিক বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
রুহুল আমিন জানান, পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ ষ্টেশনে তার মালিকানাধীন একটি ফার্ণিচারের দোকান রয়েছে। ফার্ণিচারের দোকানে ফুলের কাজ করার জন্য লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে বাসিন্দা রেমং মার্মার পুত্র বাবু চিং মার্মা (২৮) কে নিয়োগ দেন। ওই উপজাতি যুবক ফুলের কাজ করতে শুক্রবারে তার দোকানে যোগ দেন। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফুলের কাজ শেষে দোকান বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। তার সাথে মনজুর আলম নামে আরও এক কর্মচারী ছিলো। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় চার বখাটে যুবক নাদের হোসেনের পুত্র রাসেল, কামাল আজাদের পুত্র আরফাত মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র সমশুল আলম ও একই এলাকার শাহ আলম দারোয়ান দোকানের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এসময় বাবু চিং মার্মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ভাবে বলৎকার করে। ্এসময় সে মারাত্মকভাবে আহত হন। তার সাথে থাকা মনজুরকে মারধর করে দোকান থেকে বের করে দেয়। বাবু চিং মার্মা জানান, ঘটনার পর খবর পেয়ে দোকানের মালিক রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে আসেন। ওইসময় তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। বখাটে যুবকরা তার কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট ও চার হাজার টাকাও লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল রবিবার এঘটনায় দোকান মালিক রুহুল আমিন বাদি হয়ে চার বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পাঠকের মতামত: