ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ড্রেন ও রাস্তা

cnশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ॥

জলাবদ্ধতা নিরসনে কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকায় লাইট হাউজস্থ রংধনু গেস্ট হাউজের সামনে থেকে জইল্যার দোকান পর্যন্ত এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন ও রাস্তা। নির্মাণ কাজের প্রথম ধাপ হিসেবে ২৩ জুলাই শনিবার দুপুর সার্ভে কাজ শুরু হয়েছে। সার্ভে কাজ চালাচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ও রাজিব বুডুয়া।

প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, “এই এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা দুর করতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২ হাজার মিটার টেকসই ড্রে¦ন ও রাস্তার নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে সার্ভের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সার্ভে কাজ সম্পন্ন হলে শুরু হবে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ কাজ ।

তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য প্রায় কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। ড্রেনের পাশে কিছু কিছু অংশে রাস্তা থাকলেও ড্রেন তৈরির সময় অবশিষ্ট রাস্তার কাজও এক সাথে করা হবে। ড্রেনটি ভি সাইজে ৩ মিটার চওড়ায় নির্মিত হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ করা হলে এলাকার বাসিন্দা ও পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে। দীর্ঘ দিনের পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা দুর হবে। কমে যাবে জলাবদ্ধতা।

এলাকার বাসিন্দা খাইরুল আমিন হিরু জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকাটিতে কোন ধরনের ড্রেন নিমার্ণ করা হয়নি। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি সহজেই জমে থাকে এবং চলাচলের রাস্তার ভাঙ্গন ধরে নানাভাবে ক্ষতি হয়। ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়ে যায়। পরিকল্পনানুযায়ি ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ হলেও এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের আশা পুরণ হবে”।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) জানান, “কক্সবাজার পৌরসভার ধারাবাহিক উন্নয়নের একটি অংশ হচ্ছে এটি। পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার পৌরএলাকাকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হবে। তবে এই উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দরকার। যারা পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ ড্রেন দখল করে ভবন বা স্থাপনা তৈরি করেছেন, সময় মতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’’।

তিনি বলেন, “জনগণের স্বার্থে প্রয়োজেনে পৌর কর্তৃপক্ষ আরো কঠোর হবেন। শহরে কয়েক শতাধিক মানুষ ড্রেন দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে ড্রেন দখলদার হিসেবে ৪০ জন ব্যক্তির নাম তালিকায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি তালিকাভুক্ত এসব দখলদারদের কয়েকটি স্থাপনাও উচ্ছেদ করে ড্রেন উদ্ধার করা হয়েছে”।

 

 

পাঠকের মতামত: