ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার জায়গায় সামাজিক বনায়নের অপচেষ্টা, ফিরে গেল বনকর্মীরা

cnএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী নামীয় জায়গায় সামাজিক বনায়ন করার জন্য বনবিভাগের লোকজন জোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বনবিভাগের লোকজন বনায়ন করতে এসে পরে কাগজপত্র দেখে ফেরত চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।। এ ঘটনায় পুরো চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে চলছে ক্ষোভ আর হতাশা।

অভিযোগে খুটাখালী ইউনিয়নের হাজী মোহাম্মদ বকসু সওদাগরের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী জানান, ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী মৌজার আর এস ৩৫ নং খতিয়ানের আর এস ১৭৬২নং দাগ, বিএস ৪৭৯ নং খতিয়ানের ২০০৩ দাগের ১ একর ২০ শতক জমি তার নামে রয়েছে। এ জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্টান করার জন্য তার পুত্র শাহজাহান সম্প্রতি উক্ত জমির আগাছা পরিস্কার করেছে। উক্ত জায়গা ১৯৯৯ সালে বন বিভাগ দাবী করলে উভয়ের যৌথ সিদ্ধান্তে উক্ত জমি পরিমাপ করার জন্য বন বিভাগ এবং তার মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক বসে।

জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্তমতে চকরিয়া ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার, তৎকালিন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও তৎকালিন খুটাখালী বন বিট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের উক্ত জায়গা পরিমাপ করে তার জায়গা বুঝিয়ে দেয়। অদ্যাবধি তিনি (ডাঃ মোঃ হোসেন) দখলে রয়েছে। বর্তমানে উক্ত জায়গা পরিস্কার করার পর তার প্রতিপক্ষের লোকজনের ইশারায় বনবিভাগ ২১ জুলাই সকালে উক্ত জায়গায় বনায়ন করার জন্য পরিকল্পনা করে। এ সংবাদ পেয়ে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাহাদুর মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলালসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোসেন চৌধুরী সহকারী বন সংরক্ষক ইউছুপ, রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল কবির, ক্যারেলের চকরিয়া সাইট কর্মকর্তা কাইয়ুম, খুটাখালী বিট কর্মকর্তা আবদু রজ্জাক, মেদাক”ছপিয়া বিট কর্মকর্তা মোঃ জকরিয়ার সাথে দুপুর ১২ টায় এক বৈঠকে বসে। বৈঠকের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ হোসেন চৌধুরী তার জমির স্বপক্ষের কাগজপত্রাদি প্রদর্শণ করলে উভয়ের সিদ্ধান্তে উক্ত জায়গায় বনায়ন না করে পুনরায় উক্ত জায়গা নিয়ে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বন বিভাগ চলে যায়। ##

পাঠকের মতামত: