ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় থামছে না শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদাবাজি

40_65186চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ায় আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং বি ৭২৬) নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় থামছে না বলে আবারও অভিযোগ করেছেন চালকরা। রমজানের ঈদের সময় ‘ঈদ বোনাস ও নেতাদের চাঁদা’ দাবি করে চাঁদা তুললেও এখনও তারা চাঁদা আদায় থামছে না। এতে চালকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে। ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে শ্রমিক নেতা গাঁ ডাকা দিলে ঈদের পর আবারও চাঁদা আদায় করছেন। তারা আগে নির্দিষ্ট কিছু গাড়ি থেকে চাঁদা নিলেও এখন ছারপোকা, ম্যাজিক পরিবহন থেকে চাঁদা তুলছেন। এতে কেউ প্রতিবাদ করলে কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে জন্য চাঁদা আদায় করছে। এতে চালকদের হয়রানি ও চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে পরিবহন চালকরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তারা দাবি করেন, যদি আরাকান পরিবহন ইউনিয়নের নেতাদের চাঁদাবাজি বন্ধ না হয় তাহলে চালকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেন।
চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শহীদ আবদুল হামিদ বাস টার্মিনাল এলাকায় এই চাঁদা আদায় করছে। এই চাঁদা তুলছেন আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত চকরিয়া-লামা-আলীকদম রোড কমিটির সমিতির সভাপতি রফিক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রমিক নামদারী একদল চাদাঁবাজ। কিš‘ চকরিয়া থেকে চলাচলরত আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আরো কয়েকটি শাখা রয়েছে। কিš‘ তারা এবিষয়ে কোন কিছূ জানে না।
জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে তিন চাকার যান বন্ধ করে দেওয়ার পর সড়কে চার চাকার জি-টু, পিয়াগো ও ফোর হুইলার গাড়ি রাস্তায় নামে। সারা দেশের মত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই য্না চলাচল রয়েছে। কিš‘ গত কয়েকদিন ধরে চকরিয়া পৌর শহীদ আবদুল হামিদ বাস টার্সিনাল এলাকায় জি-টু, পিয়াগো ও ফোর হুইলার গাড়ি থামিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে ৩০টাকা করে দৈনিক শ্রমিক কল্যাণ ও লেভী আদায় রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করা হ”েছ। যা নিয়ম নেই বলে দাবি করছেন ওই গাড়ির চালকরা। ফলে প্রতিদিন ওই গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করায় সাধারণ যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
ওইসব গাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে গাড়ি চলাতে যত নিয়ম মেনে চলতে হয় তা পূরণ করে এসব গাড়ি মহাসড়কে নামানো হয়েছে। কিš‘ কিছুদিন ধরে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ব্যবহার করে একদল শ্রমিক চাঁদাবাজ প্রতি গাড়ি থেকে জোর করে ৩০টাকা প্রতিদিন আদায় করছেন। এতে চাঁদা না দিলে চালকরা মারধরসহ ও নানাভাবে হয়রানির শিকার হ”েছ। তারা দাবি করেন, যারা আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায় করছেন লামা-আলীকদম-থানছি সড়কে আলাদা লাইনও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত চকরিয়া-লামা-আলীকদম রোড কমিটির সমিতির সভাপতি রফিক আহমদ বলেন, আমরা বৈধভাবে চাঁদা তুলছি। আমাদের সংগঠনের আওতাধীন আমরা সড়কে চলাচলরত সিএনজি গাড়ি থেকেও চাঁদা আদায় করতে পারব। তারাই তো অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে।
আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা মো.কামাল আজাদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ##

পাঠকের মতামত: