ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘নদী দখলকারীদের মোবাইল কোর্টে শাস্তির নির্দেশ’

River-taskforce-14.07.16অনলাইন প্রতিবেদক :

নদী দখল ও দূষণকারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

 সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখাসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 টাস্কফোর্সের প্রধান শাজাহান খান বলেন, ‘যারা নদী দখল ও দূষণ করছে তাদের প্রতি একদিকে আমাদের ঘৃণা তো আছেই। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিষ্ঠিত যেসব শিল্প-কলকারখানায় ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার-এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) নেই, সেগুলোতে অবিলম্বে ইটিপি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ইটিপি বাধ্যতামূলক, করতেই হবে। এ বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

 নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘হাজারীবাগে ট্যানারিগুলো দ্রুত সরাতে যে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম সেখানে আমাদের অগ্রগতি খুব বেশি নেই, এরপরেও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। সভারের চামড়া শিল্পনগরীতে ৬১টি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দুটি ট্যানারি সম্পূর্ণভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে ৩০টি এ বছরের মধ্যে চলে যাবে।’

 টাস্কফোর্সের সদস্যরা আগামী ৩ আগস্ট সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শনে যাবেন জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘টাস্কফোর্সের সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শন করে অগ্রগতি দেখে সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুততার সাথেই এগুলোকে (ট্যানারি) স্থাপন করা যাবে।’

 নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা নদীর প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার পরে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়ায় আদি বুড়িগঙ্গা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। তবে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর সেখানে কঠোরভাবে কার্যক্রম শুরু করব।’

 নৌপুলিশ ও র‌্যাব জমি চেয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে র‌্যাবকে জায়গা দেবেন। নৌপুলিশের ডিআইজি ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে জায়গা খুঁজতে বলা হয়েছে। তবে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনো ক্রমেই নদীর জায়গা দেওয়া যাবে না।’

পাবনার বড়াল নদী ভরাট করে যে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘চারটি বাঁধের মধ্যে দুটি অপসারণ করেছি। বাকি দুটোও অপসারণ করে সেখানে সেতু নির্মাণ করা হবে।’

নদীতীর রক্ষায় ২০ কিলোমিটার ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বর্তমান মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।’

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান ও জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: