ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক (মঙ্গলবার) বন্ধের দিনেও খোলা রেখে লাখ টাকা হাতিয়ের নেয়ার অভিযোগ ইজারাদারের বিরুদ্ধে

safary parkনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধ’ শেখ মুজিব সাফারী পার্কের সাপ্তাহিক (পশু-পাখির বিশ্রামের) মঙ্গলবার বন্ধের দিনে সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে পার্ক খোলা রেখে লাখ টাকার বানিজ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইজারা দারের বিরুদ্ধে।  অথচ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকা গাজীপুরের  বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব সাফারী পার্ক বন্ধ রাখা হয়।  এতে করে চকরিয়ার সাফারী পার্কের পশু পাখিদের উপর অবিচার করা হয়েছে বলে দাবী করেছে অনেকে।
জানা গেছে, পার্কের সাপ্তাহিক প্রতি মঙ্গলবার পশু পাখিদের বিশ্রামের দিন হিসেবে সরকারী ভাবে একদিন ছুটি বাধ্যতামুল করা হয়।  এদিন বাহিরের কোন দর্শনার্থী কিংবা সরকারী কোন কর্মসূচী না করার নির্দেশ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, চলতি জুন মাসের শেষে জুলাই মাসের প্রথম তারিখে সরকারী ভাবে ইজারা প্রাপ্ত হয় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই নাছির উদ্দিনসহ বেশ কিছু যুবলীগকর্মী। ইজারা নেয়ার পর ঈদের সরকারী বন্ধে ব্যাপক হারে দর্শনার্থী ভিড় করে ওই পার্কে। সরকারী ছুটি থাকা কালে ব্যাপক দর্শনার্থীদের সমগমে ব্যাপক হারে দর্শনার্থীদের বয়স হিসাব না করে ইচ্ছা মাফিক টিকেট বিক্রয় করে বেশ কিছু টাকা আয় করে। এর ধারাবাহিকতায় ইজারাদার গত ১২ জুলাই মঙ্গলবার পার্ক সরকারী ভাবে পশু পাখি বিশ্রামের দিন হিসেবে বন্ধ রাখা হয়। এ জন্য বাহির একটি বিজ্ঞপ্তিও টাঙ্গানো রয়েছে। আইন যেনেও পার্কের নব্য ইজারাদার পশু-পখির বিশ্রামের দিনে পার্কের গেইট খোলা রেখে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। ইজরা নেয়ার ১১দিনের ব্যবধানে এ ধরণের অনিয়ম করায়  সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পার্কের দায়িত্বরত রেজ্ঞ কর্মকর্তা মোহাম্মদ  নুরুল  হুদার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বন্ধের দিন পার্ক খোলারাখার কথা স্বীকার করে বলেন,  ঈদের মৌসুম আর উপরের নির্দেশে পার্কের গেইট খোলা রাখা হয়েছে। এতে করে বেশ কিছু পর্যটক পার্কে আনন্দ লাভ করে। তবে বিষয়টি দূ;খ জনক এবং পশু পাখিদের উপর অবিচার করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য পার্কের তথ্যাবধায়ক বিভাগীয় বনকর্মকর্তা ডিএফও এসএম গোলাম মাওলার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল কেটে দিয়ে আমি  মিটিংয়ে রয়েছি বলে একটি মেসেস পাঠিয়ে দেয়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: