ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া পৌর যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুরকে গ্রেফতারের তিনদিন পর আদালতে হাজির, পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে নির্যাতন করেছে

cnচকরিয়া অফিস:

শ্বাশুড় বাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়ার তিনদিন পর চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুর (২৮) কে জন সম্মুখে হাজির করেছেন চকরিয়া থানা পুলিশ। গত তিনদিন ধরে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশ অস্বীকার করলেও গতকাল ১৩ জুলাই চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুরকে গ্রেফতারের পর অমানষিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হচ্ছে জানান তার স্ত্রী সিফাত আক্তার। যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুর চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওর্য়াডের হালকাকারা গ্রামের মরহুম মোক্তার আহমদের পুত্র।

যুবলীগ নেতা আবদুল শুক্কুরের স্ত্রী সিফাত আক্তার জানান, ঈদ উপলক্ষে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাড়িস্থ তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান স্বামী যুবলীগ নেতা আবদুর শুক্কুর। গত ১১জুলাই ভোর ৫টার দিকে চকরিয়া থানার এসআই আলমগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাপের বাড়ি ঘেরাও করে স্বামী শুক্কুরকে আটক করে। ওইসময় উঠানে তাকে অমানবিকভাবে মারধর করে। এসময় তার স্বামীকে কেন মারধর করা হচ্ছে জানতে চাইলে তাকেও লাঠিপেটা করে পুলিশ। আটকের তিনদিন অতিবাহিত হলেও চকরিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করছে না। এতে তার পরিবার শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

আবদু শুক্কুরের স্ত্রী সিফাত আক্তার অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার স্বামীকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু আটকের তিনদিন অতিবাহিত হলেও তার স্বামী খোজ মিলছে না। তাকে নিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর স্ত্রী সিফাত আক্তার সহ আত্মীয় স্বজন চকরিয়া থানায় যোগাযোগ করলেও পুলিশ গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

চকরিয়া থানার এসআই আলমগীর জানান, আবদু শুক্কুর নামে কাউকে গ্রেফতার করেনি। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা নিয়ে তিন চার জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারেও পুলিশ তদন্ত চলছে।

একইভাবে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খানও যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুর গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে গত তিনদিন ধরে যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুরকে আটকের বিষয়টি স্বীকার না করলেও গতকাল ১৩জুলাই বিকালে উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করেছেন। তার স্বজনরা জানান, তাকে শাররীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে। একটি অস্ত্র আইনে আরেকটি ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে। যুবলীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে দায়ের করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। ##

পাঠকের মতামত: