ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ডুলাহাজারায় ফুটবল খেলা দেখার সময় তিন যুবককে অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া : 1
চকরিয়ায় গভীর রাতে তিনটি বসতবাড়িতে ডাকাতি শেষে তিন পরিবারের তিন যুবককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র ডাকাত ও অপহরণকারী চক্র। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর চক্রটি তিন যুবককে জীবিত ফেরত দেওয়ার বিপরীতে মুঠোফোনে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে চাঁদা দাবি করে। বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে এই টাকা দিতে না পারলে অপহৃতদের কাউকে প্রাণে বাঁচিয়ে রাখা হবে না মর্মেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়ায় প্রায় ১৫ জন সশস্ত্র ডাকাত ও অপহরণকারী হানা দেয়। এ সময় তারা কবির হোসেন, নজির হোসেন ও মিলন মুন্সির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত করে। ডাকাতের হামলা ও মারধরে আহত হয় দুই মহিলাসহ চারজন। এ সময় তিন বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনাসহ অন্তত ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে। শুধু তাই নয়, এ সময় চক্রটি অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে রমজান আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন (২৮), কবির হোসেনের পুত্র জিয়াবুল ইসলাম (২৬) ও মিলন মুন্সির পুত্র হেলাল উদ্দিনকে (৩০)।
পুলিশ জানায়, এই অভিযোগ পেয়ে  সোমবার বিকেল ৫টার দিকে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। কিন্তু যে নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে সেই নম্বরের স্থান জানতে প্রযুক্তির সহায়তা নেয় পুলিশ। এ সময় ওই নম্বরের স্থান শনাক্ত হয় রামু উপজেলার ঈদগঁড়ের কালাপাড়া পাহাড়ি এলাকায়। এই অবস্থায় চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ফাঁড়ি পুলিশ ও রামু থানা পুলিশের একাধিক টিম অপহৃতদের উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন বলে চকরিয়া থানার পুলিশ জানায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র ডাকাত ও অপহরণকারী চক্রটি রবিবার রাতে হানা দিয়ে তিনটি বসতবাড়িতে ডাকাতি করার পর স্থানীয় তিন যুবককে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এর পর আজ সোমবার সকালে তিন যুবককে জীবিত ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে এবং থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়। এর পর অপহৃতাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।’
অপহৃত তিন যুবকের পরিবার সদস্যরা জানায়, অজ্ঞাত একটি মুঠোফোন থেকে সকালে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে চাঁদা দাবি করে। এজন্য ৪৮ ঘন্টা সময়ও বেঁধে দেয়। ওই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে অপহৃত তিনজনকে প্রাণে হত্যা এবং লাশ গুম করারও হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম রাতে চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত হয় রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের কালাপাড়া পাহাড়ি এলাকায়। অপহৃত তিন যুবককে উদ্ধারে তিন থানার পুলিশের একাধিক টিম পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।’

পাঠকের মতামত: